তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে আরো তিন ব্যাংকারের সাক্ষ্য

আগের সংবাদ

বিপাকে রোহিঙ্গারা, বিপাকে বাংলাদেশ : ভূ-রাজনীতির গ্যাঁড়াকলে কমল খাদ্য সহায়তা > এক বেলা খাবারের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ কমে ৯ টাকা

পরের সংবাদ

ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনা : নিহতদের মরদেহ রাখা স্কুল ভেঙে ফেলা হচ্ছে

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর নিহতদের মরদেহ প্রাথমিকভাবে বাহানগা বাজারের যে সরকারি স্কুলটিতে রাখা হয়েছিল প্রশাসনের উদ্যোগে সেটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। গত শুক্রবার রাজ্যটির বালেশ্বর জেলার বাহানগা বাজার স্টেশনে তিনটি ট্রেনের দুর্ঘটনায় ২৮৮ জন নিহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে স্টেশনসংলগ্ন ওই স্কুলটিকে অস্থায়ী মর্গ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। একদিন পর মৃতদেহগুলোতে পচন ধরতে শুরু করার পর মরদেহগুলো হাসপাতালের মর্গে সরিয়ে নেয়া হয়।
স্কুল চত্বরে দুর্গন্ধ থাকায় সেটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি স্যানিটাইজও করা হয়েছিল। কিন্তু স্কুল খোলার পর স্কুল ভবনটিতে ক্লাস করার জন্য শিক্ষার্থীরা আর ফিরে আসেনি। অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের সেখানে পাঠাতে আগ্রহী ছিলেন না। স্কুলটিকে মর্গ হিসেবে ব্যবহারের সময় অভিভাবকরা সেখানে যা কিছু দেখেছেন তাতে সন্তানদের আর সেখানে পাঠাতে তাদের মন সায় দেয়নি বলে জানিয়েছেন অনেকে।
এই পরিস্থিতিতে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি রাজ্য সরকারের কাছে স্কুলের ৬৫ বছরের পুরনো ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন গড়ে দেয়ার আবেদন জানায়। আবেদনে কমিটি জানায়, স্কুল ভবনটি আর নিরাপদ নেই এবং ট্রেন দুর্ঘটনার পর মরদেহ রাখায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আতঙ্কিত বোধ করছেন। শিশু শিক্ষার্থীরা ভীত হয়ে আছে। বাহানগা হাইস্কুলের হেডমিস্ট্রেস প্রমিলা সোয়াইন এমনটি বলেছেন বলে বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের দেয়া উদ্ধৃতিতে বলা হয়েছে।
শিশুদের ভয় কাটাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছু আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠান ও কিছু আচার অনুসরণ করার পরিকল্পনা করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে স্কুলের কিছু জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী ও এনসিসি ক্যাডেট ট্রেন দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বালেশ্বরের জেলা প্রশাসক গত বৃহস্পতিবার স্কুলটি পরিদর্শন করেন এবং এর ম্যানেজিং কমিটি, হেডমিস্ট্রেস ও অন্যান্য কর্মী এবং অভিভাবকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি জানান, শিশুরা যেন ক্লাসে আসতে ভয় না পায় সেই জন্য তারা চান স্কুলের পুরনো ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করা হোক। এরপর গতকাল শুক্রবার থেকে পুরনো ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়