তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে আরো তিন ব্যাংকারের সাক্ষ্য

আগের সংবাদ

বিপাকে রোহিঙ্গারা, বিপাকে বাংলাদেশ : ভূ-রাজনীতির গ্যাঁড়াকলে কমল খাদ্য সহায়তা > এক বেলা খাবারের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ কমে ৯ টাকা

পরের সংবাদ

‘অভিনয়কেই ভালোবেসে যেতে চাই’

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সদ্য ম্ুিক্ত পাওয়া ওয়েব সিনেমা ‘আন্তঃনগর’ এ শুভ চরিত্রে নজর কেড়েছেন অভিনেতা প্রান্তর দস্তিদার। সিনেমা ও অন্যান্য বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন রাশেদ রায়হান

প্রথম ওয়েব সিরিজ রিলিজ
আসলে এটি সব কিছুর দিক থেকেই প্রথম। এর আগে শর্টফিল্ম আর মিউজিক ভিডিও করেছি। তবে সিনেমায় প্রথম অভিনয়, সে দিক দিয়ে আমি খুবই উচ্ছ¡সিত। গল্পে আমার চরিত্রটি খুবই নিরীহ। সেভাবেই চরিত্রটি করার চেষ্টা করেছি। বাকিটা দর্শকের হাতে।

‘আন্তঃনগর’র নাগরিক হওয়া যেভাবে
অনেক দিন ধরেই ক্যামেরার পেছনে কাজ করছিলাম, কখনো প্রধান সহকারী পরিচালক, কখনো জুনিয়র প্রডিউসার। সেখান থেকে কাজ করতে গিয়ে কোনোভাবে পরিচালক গৌতম দার কাছে আমার নাম বা ছবি পৌঁছায়। তখন গৌতম দা একদিন আমার সঙ্গে দেখা করেন এবং বলেন, এই চরিত্রে তোমাকে চিন্তা করছি, তুমি কাজ করতে চাও কিনা! দাদাকে প্রশ্ন করেছিলাম, তার কী মনে হয় আমাকে দিয়ে হবে? দাদা বললেন, হয়ে যাবে। তারপর আন্তঃনগরে যুক্ত হয়ে যাওয়া। তারপর রিহার্সাল শুরু করলাম। সিনেমার শুটিং শুরু হলো, ডাবিং করলাম। সব মিলিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা।

ক্যামেরার সামনে আইসব্রেক
কাজ করতে গিয়ে কোন নার্ভাসনেস বা টেনশন হয়নি। এটার পুরো ক্রেডিট টিমের। কারণ টিমের সবাই যদি সাপোর্টটিভ না হয় বা কমফোর্ট জোন তৈরি করে দিতে না পারে, তাহলে অভিনয় করাটা সহজ থাকে না। সব সময় চেয়েছি ক্যামেরার পেছনেই কাজ করব, সেটা প্রডিউসার হিসেবে বা কখনো ডিরেকশনও দেব। কিন্তু অভিনেতা হয়ে ওঠা পুরোটাই গৌতম দার হাতে। অভিনয়টা ভালোবেসেছি গৌতদার সঙ্গে কাজ করার পরে।

পর্দায় রসায়ন
আমাদের গল্পের ওপর বিশ্বাস ছিল। গল্প যদি আমরা ধারণ করতে পারি, চরিত্রগুলো যদি ধারণ করতে পারি, তাহলে জিনিসটা এগিয়ে যাবে। দু-একবার রিহার্সাল ও কথাবার্তার মাধ্যমে সহঅভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি হিসেবে আমাদের মাঝে ওই বোঝাপড়াটা তৈরি হয়ে গেছে।

শোবিজে ডানামেলা
ফেব্রুয়ারিতে আন্তঃনগর সিনেমার প্রথম গান রিলিজ হয়। এরপর প্রচুর টিভিসি, ওভিসি ব্র্যান্ড শুটের অফার পাই। তখন কে-ক্রাফট, দেশালসহ বেশ কিছু ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছি। টিভিসি-ওভিসির কাজ সিনেমার থেকে ভিন্ন, তবে দিন শেষে সবই ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো। সব কাজই উপভোগ করি।

ইঞ্জিনিয়ার হয়ে অভিনয়ে
আগে থেকেই ইচ্ছা ছিল ক্যামেরার পেছনে কাজ করার। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় ‘পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট’ ও ব্র্যাকের যৌথ উদ্যোগে ফিল্ম নির্মাণের স্কলারশিপ পাই। এটা শেষ করার পরেই ওখানের একজন টিচারের সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবে যুক্ত হই। যত আগে থেকে আমি ক্যামেরার পেছনে কাজ করি, অভিনয়টা ভালো লাগবে, এটা বুঝতে অনেক দেরি হয়ে গেছে। গল্প নিয়ে কাজ করার ক্ষুধা সব সময় কাজ করত। এখন অভিনয়ই নিয়মিত করতে চাই।

নতুন কাজ
বিভিন্ন প্রোজেক্টে যুক্ত হওয়ার কথা বলছে। এখনই সবটা বলতে চাইছি না। সবকিছু ঠিক হলে জানাব।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
নিজেকে নিজের প্রতিযোগী মনে করে যতটা ভালো করা যায়, প্রতিটি কাজের মধ্য দিয়ে। ভালো কাজ করতে চাই। অভিনয়কেই ভালোবেসে যেতে চাই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়