নম্বর জালিয়াতির অভিযোগ : নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে হাইকোর্টে তলব

আগের সংবাদ

ভোটের হাওয়া কোন দিকে? বরিশালে চার প্রার্থীর মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস

পরের সংবাদ

দেশে বছরে ২০ হাজার ব্রেন টিউমারের রোগী : ওয়ার্ল্ড ব্রেন টিউমার ডে পালিত

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়। দেশে প্রতি বছর ৩ হাজার ব্রেইন টিউমার সার্জারি হচ্ছে। নিউরোসার্জিক্যাল সেন্টারগুলোকে আধুনিক যন্ত্রপাতিতে সুসজ্জিত করলে এবং দেশের সব জেলা হাসপাতালে নিউরোসার্জারি বিভাগ চালু করলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ব্রেন টিউমার, হেড ইনজুরি প্রভৃতি বিষয়ে চিকিৎসার সুযোগ পাবে। সময়মতো ব্রেন টিউমার অপারেশন করলে মৃত্যুঝুঁকি ও পঙ্গুত্ব কমে যায়।
ওয়ার্ল্ড ব্রেন টিউমার ডে উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার এক আলোচনায় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। এবারই প্রথম দেশে দিবসটি পালন করা হলো।
এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) শোভাযাত্রা ও শহীদ ডা. মিল্টন হলে ‘বাংলাদেশে ব্রেন টিউমার সার্জারি : সাফল্যের ৫২ বৎসর’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনস আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনস এর সভাপতি ও বিএসএমএমইউর নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক এবং সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আফজাল হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনস-এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউর সহযোগী অধ্যাপক মো. আতিকুর রহমান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউরোসার্জন ডা. ইসমে আজম জিকো, নিনস্ এর নিউরো সার্জন ডা. জিয়াউদ্দিন ব্রেন টিউমারের ওপর আলাদা ৩টি উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
সভায় জানানো হয়, উন্নত বিশ্বে প্রতি এক লাখে ১৫ জন মানুষ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোয় এই সংখ্যা ৪।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের নিউরোসার্জনরাই সারা বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে। তারা অনেক দক্ষ ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর চিকিৎসা দিতে পারদর্শী। ব্রেন টিউমার অপারেশনেও বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে।
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, নিউরোসার্জনরা মানুষের জীবন বাঁচায়। বাংলাদেশের নিউরোসার্জনরা বিশ্বমানের। তারা বাংলাদেশে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষকে সেবা দিতে সক্ষম। তিনি বলেন, চোখ অপারেশনের আগে রোগীরা আমাকে দেখেন না। অপারেশনের পর রোগী যখন আমাকে দেখে হাসি দেন সেটিই আমার জন্য দোয়া। রোগীর মুখের হাসির চেয়ে আনন্দের আর কিছু নেই।
তিনি বলেন, আমাদের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৯ হাজার রোগী, হাসপাতালে ভর্তি থাকা ২ হাজার রোগী সেবা নেন। আমার এখানে যদি সিঙ্গাপুরের মতো চিকিৎসা দিতে চাই, একজনের জন্য একটি হাসপাতাল- সেই পরিবেশ তো আমি দিতে পারব না।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর খুলনা থেকে রোগী এসে সেবা নিয়ে বিকালে বাড়ি চলে যান। আগামীতে নিউরোসার্জারি বিভাগে গামা নাইফ সার্জারি চালু করতে চাই। সবাই সহযোগিতা করলে ২০৪১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট হেলথ ব্যবস্থা চালু করতে পারব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়