নম্বর জালিয়াতির অভিযোগ : নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে হাইকোর্টে তলব

আগের সংবাদ

ভোটের হাওয়া কোন দিকে? বরিশালে চার প্রার্থীর মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস

পরের সংবাদ

চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচন ৩০ জুলাই এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে তদবির

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-১০ আসনে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩০ জুলাই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই আসনের উপনির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ছাড়াও প্রার্থী হতে ইচ্ছা পোষণ করেছেন বেশ কয়েকজন। এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। মাত্র আড়াই মাসের জন্য সংসদ সদস্য হতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতিমধ্যে নানা কৌশলে চেষ্টা-তদবিরও চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
গত ২ জুন সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম-১০ আসনটি গত ৪ জুন শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। জাতীয় সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে তার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হয়। নানা সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-১০ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে নগরীর হেভিওয়েট প্রার্থীসহ বেশ কিছু নেতাকে নিয়ে আলোচনা চলছে তৃণমূলে। পাশাপাশি দলের বাইরের অনেকের নামও শোনা যাচ্ছে। এই আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তারা হলেন- নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন, ১৪ দল চট্টগ্রাম নগরের সমন্বয়ক নগর আ’লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম, নগর আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম। এ ছাড়া প্রয়াত ডা. আফছারুল আমীনের ভাই ডা. আরিফুল আমীন ও বড় ছেলে ফয়সাল আমীন, এম এ আজিজের ছেলে সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, জহুর আহমদ চৌধুরীর ছেলে হেলাল উদ্দিন চৌধুরী তুফানের নামও শোনা যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন ও সাবেক মেয়র আ.জ. নাছির উদ্দীন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ও নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাঠের রাজনীতি করে আসছি। মাঠের রাজনীতি করা সবার একটি ইচ্ছা-প্রত্যাশা থাকে। আমিও সে হিসেবে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলের মনোনয়ন চাইব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করবো। আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষে কাজ করব। ডা. আফছারুল আমীনের ভাই ডা. আরিফুল আমীন জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে এক জনকে মনোনীত করে তার জন্য নৌকার মনোনয়ন চাওয়া হবে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন, তার জন্যই কাজ করবে তাদের পরিবার।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়। নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর জানান, আগামী ৩০ জুলাই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণের সময় সকল কেন্দ্রে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৪ জুলাই। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৬ জুলাই, আপিল দায়ের করা যাবে ৭ থেকে ৯ জুলাই। এছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ জুলাই এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৩ জুলাই। ৩০ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীন গত ২ জুন মৃত্যুবরণ করেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসন। বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনে (২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮) এ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ডা. আফছারুল আমীন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়