নম্বর জালিয়াতির অভিযোগ : নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে হাইকোর্টে তলব

আগের সংবাদ

ভোটের হাওয়া কোন দিকে? বরিশালে চার প্রার্থীর মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস

পরের সংবাদ

এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ : ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের সিনিয়র কন্সালট্যান্ট এন্ড হেড অফ কার্ডিও সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মাছুম সিরাজের বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক কাঞ্চন কুমার দে অভিযোগ করেছেন, ওই চিকিৎসকের অপচিকিৎসার শিকার হয়ে জীবন সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার কাঞ্চন কুমার দে সাংবাদিকদের জানান, গত ২২ ডিসেম্বর রাতে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে এনজিওগ্রামের মাধ্যমে জানতে পারেন তার হার্টে ৫টি ব্লক আছে। সেই অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর অধ্যাপক ডা. মাছুম সিরাজের নেতৃত্বে এক দল চিকিৎসক তার ওপেন হার্ট সার্জারি করে। তারপর থেকে প্রথমে ডা. শাহনূর আজিজ এবং পরে প্রফেসর ডা. রেজাউল করিমের অধীন নিয়মিত চেকআপ করে আসছেন।
কিন্তু গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে তিনি প্রায়ই বুকে ব্যথা অনুভব করতেন। এমন অবস্থায় গত ১ এপ্রিল রাত ১১টায় বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এরপর ‘স্প্রে নিডোকার্ড’ নিলে বুক ব্যথা কমে যায়। এই অবস্থায় ডা. রেজাউল করিমকে মোবাইলে ফোন করলে তিনি পরের দিন সকালে হাসপাতালে যেতে বলেন। সেই পরামর্শ অনুযায়ী কাঞ্চন দে গত ২ এপ্রিল হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক একটি টেস্ট করতে দেন। টেস্ট রিপোর্টে দেখা যায়, ওই দিন রাতে (১ এপ্রিল) তার ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ হয়।
কাঞ্চন দে বলেন, ডা. রেজাউল করিম হার্টের সর্বশেষ অবস্থা দেখার জন্য পরের দিন ৩ এপ্রিল ‘এনজিওগ্রাম’ করান। এতে দেখা যায়, ওপেন হার্ট সার্জারির পরও ২টি ব্লক-এর ১টি ৯০ শতাংশ অপরটি ৮০ শতাংশ (যা প্রথম এনজিওগ্রাম রিপোর্টে ছিল), আর এই এনজিওগ্রামের সময়ই এই ২টি ব্লকে রিং পরানো হয়। এখন প্রশ্ন হলো- ওপেন হার্ট সার্জারিতে ৫টি ব্লক-এর মধ্যে ৩টি কেন ক্লিয়ার করা হলো আর ২টি কেন ক্লিয়ার করা হলো না? মাত্র ৩ মাসের মধ্যে আমি তো মৃত্যুর মুখে চলে যাচ্ছিলাম।
ডা. মাছুম সিরাজের এমন অপচিকিৎসার (এক ধরনের প্রতারণা) কারণে নিজের জীবন মৃত্যুঝুঁকিতে পড়েছে উল্লেখ করে কাঞ্চন দে বলেন, এ ধরনের প্রতারণায় আমি শুধু বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখেই পড়িনি, শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছি।

বলা যায়, মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেও বর্তমানে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছি। এই প্রতারণার সুবিচার চেয়ে গত ৫ মে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে ডা. মাছুম সিরাজকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়