নম্বর জালিয়াতির অভিযোগ : নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে হাইকোর্টে তলব

আগের সংবাদ

ভোটের হাওয়া কোন দিকে? বরিশালে চার প্রার্থীর মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস

পরের সংবাদ

ইয়াবার প্রতি চালানে লাখ টাকা পেতেন ট্রাক চালক : চক্রের ভরসা ‘নারী ক্যারিয়ার’, মূল সমন্বয়কসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে নানা কৌশলে ট্রাকে করে ইয়াবা আনত চক্রটি। পরে পেটিকোটে বিশেষভাবে সেলাই করে ইয়াবাগুলো ছড়িয়ে দেয়া হতো রংপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়সহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায়। ব্যবসায়ীদের কাছে ইয়াবা পৌঁছে দিতে চক্রের প্রধান ভরসা বেশ কয়েকজন নারী সদস্য। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে ওই নারীরাই পেটিকোটগুলো পরে পৌঁছে দিত মাদক ব্যবসায়ীদের ঠিকানায়। আর টেকনাফ থেকে প্রতিবার ইয়াবা আনতে ট্রাক চালককে দেয়া হতো লাখ টাকার বেশি।
এভাবে দীর্ঘদিন ব্যবসা করার পর এই চক্রের মূলহোতা মো. শাহজাহান ও তার সহযোগী ট্রাক চালক মো. আলমগীরকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। গত বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ডিএনসি ঢাকা মেট্রো. (উত্তর) কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে ধারাবাহিক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ২৫ হাজার ইয়াবা ও একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ডিএনসি ঢাকা মেট্রো. (উত্তর) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ীর গোপীবাগ থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ট্রাক চালক আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইয়াবাগুলো সে ট্রাকের স্পেয়ার চাকায় বিশেষ কৌশলে পরিবহন করছিল। পরে তার দেয়া তথ্যানুযায়ী, সাভারের হেমায়েতপুর থেকে ১৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ উত্তরাঞ্চলে ইয়াবা সরবারহের মূল সমন্বয়কারী শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাহজাহানই টেকনাফের বিভিন্ন ইয়াবা ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আলমগীরের মাধ্যমে নিজ বাসায় ইয়াবা মজুত করত। পরে পেটিকোটে বিশেষভাবে সেলাই করে ইয়াবাগুলো নারী ক্যারিয়ারদের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে দিত। মো. রাশেদুজ্জামান আরো জানান, টেকনাফ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় পণ্য পরিবহনের সময় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি হয় ট্রাকচালক আলমগীরের। ওই ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন জেলায় ইয়াবা পৌঁছে দিত সে। এজন্য প্রতি ট্রিপে সে ১ থেকে ২ লাখ টাকা পেত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহজাহান জানিয়েছে, তার নামে দুটি মাদক মামলা রয়েছে। তাদের দুজনের নামেই সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেছে ডিএনসি।
এক প্রশ্নের জবাবে উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, বাস ও ট্রাকে ইয়াবা পরিবহনের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এজন্য আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, বাস ও ট্রাক মালিকদের সঙ্গে বসে নজরদাড়ি বাড়ানোর বিষয়ে আলাপ করার জন্য। পাশাপাশি ডিএনসিও নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত চক্রে নারী ক্যারিয়ার কারা, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়