কনস্টেবল বাদল হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

আগের সংবাদ

দুর্ভোগের অবসান চান নগরবাসী : সুপেয় জলের তীব্র সংকট জলজটের খুলনায়

পরের সংবাদ

লিবিয়ায় বাংলাদেশি যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি : অভিযোগ করায় হত্যার হুমকি

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) থেকে : লিবিয়ায় জিয়াউর রহমান (২৫) নামে এক যুবককে অপহরণ করে হাত-পা বেঁধে মারপিটের ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। প্রবাসে নির্যাতন ও মুক্তিপণ দাবি করার বিষয়ে নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে বিপাকে পড়েছে তার পরিবার। গত মঙ্গলবার স্থানীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন জিয়াউর রহমানের ভাই কেশবপুর উপজেলার সন্ন্যাসগাছা গ্রামের বেলাল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সন্ন্যাসগাছা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে বেলাল হোসেন বলেন, সন্ন্যাসগাছা গ্রামের আব্দুল গফুর সরদারের ছেলে আদম ব্যাপারী সোহাগ হোসেন ৪ বছর আগে ৫ লাখ টাকা নিয়ে জিয়াউর রহমানকে লিবিয়ায় পাঠান। বর্তমানে লিবিয়ায় অবস্থানরত আদম ব্যাপারি পার্শ্ববর্তী ডুমুরিয়া উপজেলার বাদুড়িয়া গ্রামের আব্দুল আজিজ কিংয়ের অধীনে তার ভাই অবস্থান করছেন। আব্দুল আজিজ কিং এর অধীনে থেকে জিয়াউর রহমান কাজ করায় ২ বছরের টাকা তার (আব্দুল আজিজ) ছেলে আরাফাত হোসেনের মাধ্যমে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। বাকি ২ বছরের টাকা আব্দুল আজিজ কিং এর কাছে চাইলে জিয়াউর রহমানকে অপহরণ করে অন্যত্র নিয়ে যায় এবং ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের লিবীয় মুদ্রা, পাসপোর্ট, ভিসা ছিনিয়ে নেয়। সেখানেই তাকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনসহ ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর জিয়াউর রহমানকে উদ্ধার করে দেশে ফেরত আনার জন্য যশোরের জেলা প্রশাসক এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালকের কাছে গত ২৩ মে আবেদন করেন।
এরপর সন্ন্যাসগাছা গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে সোহাগ সরদার ও ডুমুরিয়া উপজেলার বাদুড়িয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আরাফাত হোসেনের নামে কেশবপুর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে তাদের বিভিন্ন ভয়ভীতি ও লিবিয়ায় অবস্থানরত তার ভাইকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয়া হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি জিয়াউর রহমানকে দেশে ফেরত আনার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণসহ দালাল ও নির্যাতনের জসঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেলাল হোসেনের ভগ্নিপতি হাবিবুল্লাহ ও উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মোহাম্মদ আলী।
কেশবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাস বলেন, এ ঘটনায় হওয়া মামলায় দু’জনকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের যশোর আদালতে নেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়