কনস্টেবল বাদল হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

আগের সংবাদ

দুর্ভোগের অবসান চান নগরবাসী : সুপেয় জলের তীব্র সংকট জলজটের খুলনায়

পরের সংবাদ

ফটিকছড়ি : ৮ গ্রামের মানুষের দুঃখ একটি কাঠের সেতু

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুহাম্মদ দৌলত, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) থেকে : আট গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা একটি কাঠের সেতু। নড়বড়ে এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন যাতায়াত করে থাকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় ব্যবহারকারীদের। অথচ এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ হলে বদলে যেত এ অঞ্চলের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের ভাগ্য।
ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের গজারিয়া খালের ওপর নির্মিত অস্থায়ী কাঠের সেতু দিয়ে ইউনিয়নের কাঞ্চনা, বড় বেতুয়া, ছোট বেতুয়া, সন্দীপ পাড়া, উত্তর বান্দরমারা, দক্ষিণ বান্দরমারা, মুজাহিদপুর, চুড়ামনিসহ আট গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন যাতায়াত করে থাকে।
স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি গজারিয়া খালের ওপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা। এ জন্য গ্রামবাসী বিভিন্ন সময় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকটি গাছের খুঁটির উপর বিপজ্জনকভাবে দাঁড়িয়ে আছে সেতুটি। এটি তুলনামূলক সরু হওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে হয় এক লাইনে। যার কারণে সেতুর উভয় পাশে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেতুর উভয় পাশে রেলিং না থাকায় প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। অন্যদিকে, অস্থায়ীভাবে নির্মিত সেতুটি প্রস্থের চেয়ে দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় গাড়ি চলাচলের সময় ভয়ংকরভাবে কাঁপতে থাকে। এমতাবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপারে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ ছাড়াও খালের দুই পাড়ে গড়ে উঠা স্কুল কলেজ মাদ্রাসাসহ চার পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা হলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এখানে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য দাবি জানিয়ে আসলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর আর্থিক সহায়তায় অস্থায়ী এ সেতুটি তৈরী হয়েছে বলে জানান এলাকার সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে দাঁতমারা ইউপি চেয়ারম্যান মো. জানে আলম বলেন, গজারিয়া খালের অপর পাড়ে আট গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা কাঠের তৈরি একটি সেতু।
তিনি আরো বলেন, গজারিয়া খালের মুজাহিদপুর রাস্তার মাথায় একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ হলে কৃষিনির্ভর এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান পরিবর্তন হবে দ্রুত।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফটিকছড়ি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী তন্ময় নাথ ভোরের কাগজকে বলেন, গজারিয়া খালের মুজাহিদপুর নামক স্থানে সেতু নির্মাণ সময়ের দাবি। ইতোমধ্যে সেতুটির গুরুত্ব বিবেচনা করে ওপর মহলকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে আলোর মুখ দেখা যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়