কনস্টেবল বাদল হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

আগের সংবাদ

দুর্ভোগের অবসান চান নগরবাসী : সুপেয় জলের তীব্র সংকট জলজটের খুলনায়

পরের সংবাদ

প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে নিয়ে খোঁচা : স্কুলছাত্রকে হত্যার পর পুঁতে রাখল প্রতিবেশী কিশোর

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

তৈয়বুর রহমান, কুড়িগ্রাম থেকে : প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেছে অন্যত্র। তা নিয়ে প্রতিনিয়ত খোঁচা দিত এক কিশোর।
এরকম খোঁচাকে ঘিরেই গলাটিপে ধরলে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১২ বছরের কিশোর। অভিযুক্ত ১৬ বছরের কিশোর পরে মরদেহ নিজ বাড়ির কাছে একটি গর্তে পুঁতে রাখে। কুড়িগ্রামে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর বাড়ির পাশে গর্ত খুঁড়ে মরদেহ পুঁতে রেখেছে প্রতিবেশী কিশোর। গতকাল বুধবার সকালে সদর থানা পুলিশ গর্ত থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার এবং কিশোর সঞ্জয়কে আটক করেছে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার শিক্ষার্থী সীমিত চন্দ্র (১২) ওই গ্রামের মানিক চন্দ্র ড্রাইভারের ছেলে এবং অভিযুক্ত সঞ্জয় (১৬) একই গ্রামের প্রদীপ চন্দ্রর ছেলে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের গীতাসংঘ অনুষ্ঠানে যায় সীমিত ও তার বড় ভাই।
এক সময় সীমিতকে অনুষ্ঠানস্থলে রেখে বাড়িতে চলে যান বড় ভাই। অনুষ্ঠানস্থল থেকে ফেরার পথে সীমিতের সঙ্গে সঞ্জয়ের ঝগড়া হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সঞ্জয় সীমিতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর তাদেরই একটি পরিত্যক্ত বাড়ির পেছনে গর্তে মরদেহ পুঁতে রাখে।
এদিকে, গীতা সংঘ শেষ হলেও সীমিত বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা তার খোঁজে বের হন। পরিবারের লোকজন অভিযুক্ত কিশোর সঞ্জয়কে জিজ্ঞাসা করলে সে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকে। এ অবস্থায় সঞ্জয়ের পিতা প্রদীপ চন্দ্র তাদের পরিত্যক্ত বাড়ির পেছনের একটি গর্তে সীমিতের মরদেহ দেখিয়ে দেন।
গতকাল বুধবার ভোরে সঞ্জয়ের পিতার দেখানো গর্ত থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
সঞ্জয়ের প্রাথমিক স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সদর থানার ওসি (তদন্ত) এম আর সাঈদ জানান, অভিযুক্ত কিশোরের সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। এ নিয়ে সীমিতসহ অনেকেই ওই কিশোরকে খোঁচা দিত।
গত মঙ্গলবার রাতে সীমিত ওই কিশোরকে এ নিয়ে আবারো খোঁচা দিলে সঞ্জয় ক্ষিপ্ত হয়ে তার গলা টিপে ধরে। এতে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে কিশোর সীমিত মারা যায়।
অভিযুক্ত কিশোরের বড় ভাই ও তার বাবাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে ওসি (তদন্ত) জানান। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রামের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়