কনস্টেবল বাদল হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

আগের সংবাদ

দুর্ভোগের অবসান চান নগরবাসী : সুপেয় জলের তীব্র সংকট জলজটের খুলনায়

পরের সংবাদ

নিজের ঘর ও আশপাশের পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখুন : সেমিনারে উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেছেন, প্লাস্টিকের অতি ব্যবহার ও দূষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন সারাবিশ্ব। প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে আমরা একজন আরেকজনকে দোষ দিচ্ছি। অথচ নিজের জায়গা পরিষ্কার করি না। নিজের ঘর ও আশপাশের পরিবেশ দূষণমুক্ত করা দরকার। সরকারের সমালোচনা না করে আগে নিজের সমালোচনা করেন, দেখেন কতটুকু পরিবর্তন হতে পেরেছেন? আমরা এসি রুমের ভেতরে বসে আলোচনা করতে পছন্দ করি। এই খোলস থেকে বের হতে হবে। মূলত পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে জনবল নয়, মনোবল দরকার। আইন করে কিছু হবে না। নিজ্ েনিজের ঘর এবং আশপাশের পরিবেশ দুষণমুক্ত রাখুন।
পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ‘একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বর্জন করি, পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবহার করি’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অথিতির বক্ত্যব্যে এসব কথা বলেন তিনি। গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডেজিনাস নলেজ (বারসিক), বন্ধু ফাউন্ডেশন, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট (ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), এনভায়রনমেন্ট এন্ড সোশাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো), এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফরমস এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এবং গ্রিন সেভারস যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
পরিবেশ অধিদপ্তর মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থ ও এসডোর সেক্রেটারি জেনারেল শাহারিয়ার হোসাইন। অনুষ্ঠানে আরো আলোচক ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) কাজী আবু তাহের, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) সোলেমান হায়দার, বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনসের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবারক আহমদ খান প্রমুখ। ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুুদা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) কাজী আবু তাহের বলেন, আইন প্রয়োগ নয়, সচেতনতাই প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে পারবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের একার পক্ষে প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব নয়। আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। বর্তমানে জনবল আছে ৫৭২ জন, প্রয়োজন ১ হাজার ১৩৩ জন। স্বল্প জনবল দিয়ে পলিথিন বন্ধে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করা কঠিন। জনগণের সচেতনা দরকার। চাহিদা না থাকলে জোগান আসবে না। তাই চাহিদা কমাতে প্লাস্টিক ব্যবহার কমাতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা বলেন, সম্প্রতি মানুষের ফুসফুসে, মায়ের বুকের দুধে, রক্তে, মাছে ও বাতাসে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে- যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, ২০৫০ সালের দিকে পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশে ১২ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হবে এবং সমুদ্রে মাছের চেয়ে প্লাস্টিকের উপস্থিতি বেড়ে যাবে। তাই ক্ষতিকর একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ এবং বিকল্প ব্যবহারের দিকে অগ্রসর হতে সারা বিশ্ব একমত হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়