কনস্টেবল বাদল হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

আগের সংবাদ

দুর্ভোগের অবসান চান নগরবাসী : সুপেয় জলের তীব্র সংকট জলজটের খুলনায়

পরের সংবাদ

নানা অভিযোগ চন্দ্রগঞ্জের ওসির বিরুদ্ধে : সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের বাধা, তুলে নেয়ার চেষ্টা

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, ল²ীপুর : ল²ীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. তহিদুল ইসলামের অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওসি মো. তহিদুল ইসলাম এবং ওসি (তদন্ত) মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বাধা প্রদান এবং আব্দুর রহমান আরজু নামে এক ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ। এ সময় সাংবাদিকদের প্রতিবাদের মুখে পুলিশ চলে যেতে বাধ্য হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে জানা যায়, চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. তহিদুল ইসলাম যোগদান করার পর থেকে টাকার বিনিময়ে মিথ্যা মামলা রেকর্ডসহ নানাভাবে নিরীহ জনগণকে হয়রানি করে আসছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিমবাজারে ভুক্তভোগী চন্দ্রগঞ্জ থানার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুর রহমান আরজু ওসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলন চলাকালে অভিযুক্ত ওসি মো. তহিদুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) মো. মফিজুর রহমান, থানার এসআই বিকাশ চন্দ্র ভৌমিকসহ একদল পুলিশ এসে অভিযোগকারী আব্দুর রহমান আরজুকে তুলে নেয়ার চেষ্টা চালান। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত চন্দ্রগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিনের সঙ্গেও পুলিশ খারাপ আচরণ করেন। সাংবাদিকদের প্রতিবাদের মুখে পুলিশ পরে ঘটনাস্থল থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়। এ সময় সাংবাদিকরা ওসি মো. তহিদুল ইসলামের কাছে একজন মামলার আসামি দেশের বাইরে থেকে কিভাবে দেশে মারামারির মামলার আসামি হন এবং দুইজন সাক্ষী প্রবাসে থেকে কি করে মারামারির মামলার সাক্ষী হন জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে নীরব থাকেন। জানা যায়, চন্দ্রগঞ্জ বাজারের একটি প্লটে বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানতপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন নাদিম ও চন্দ্রগঞ্জ থানার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুর রহমান আরজু ফ্ল্যাট খরিদ করে মালিক হন। এই ফ্ল্যাট নিয়ে দুই জনের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে গত ২৮ মে দেলোয়ার হোসেন নাদিম বাদী হয়ে চন্দ্র্রগঞ্জ থানার ওসিকে ম্যানেজ করে প্রতিপক্ষ আব্দুর রহমান আরজুর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করেন। পুলিশ মামলা দায়েরের পরপরই আব্দুর রহমান আরজুকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। এক সপ্তাহ হাজতবাস করার পর আরজু জামিনে বেরিয়ে আসেন। একইভাবে ওসি টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, চন্দ্রগঞ্জ থানায় যোগদানের আগে ওসি মো. তহিদুল ইসলাম নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানায় ওসি হিসেবে কর্মরত ছিল। সে সময় থানা এলাকা থেকে ৪ ডাকাতকে অস্ত্রসহ ধরে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে অস্ত্রসহ ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় তাকে প্রত্যাহার করে ল²ীপুর পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে তাকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় পদায়ন করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়