‘প্রস্তাবিত বাজেট তামাকমুক্ত দেশ গড়ার অন্তরায়’

আগের সংবাদ

রাজনীতির ছায়ায় ব্যবসার জাল : জামায়াতের বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক দেশ জুড়ে বিস্তৃত, গোপনে চলছিল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, এবার প্রকাশ্যে মাঠে নামার হুংকার

পরের সংবাদ

৮৫০ টাকা ভাতায় জীবন চলে না প্রতিবন্ধীদের

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ৮৫০ টাকা মাসিক ভাতায় জীবন চলে না বলে জানিয়েছেন প্রতিবন্ধীরা। তারা বলেছেন, ২০২৩-২৪ বাজেটে প্রতিবন্ধীদের মাসিক ভাতা ৮৫০ টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে। এই টাকা দিয়ে ‘চড়া দ্রব্যমূল্যের’ বাজারে জীবন নির্বাহ করা কঠিন।
‘জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪ : প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অবস্থান’ শীর্ষক বাজেটপরবর্তী প্রতিক্রিয়া অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তারা। অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গতকাল রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান সহযোগী সংগঠন ছিল ডিজঅ্যাবল্ড চাইল্ড ফাউন্ডেশন, প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদ, জাতীয় তৃণমূল প্রতিবন্ধী সংস্থা, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, গেøাবাল এপেয়ার্স কানাডা, সীতাকুণ্ড ফেডারেশন, এসডিএসএল, টার্নিং পয়েন্টে ফাউন্ডেশন, মামা ক্যাশ ও উইমেন উইথ ডিজঅ্যাবল্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন।
মাসিক ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আলবার্ট মোল্লা বলেন, জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলের সুপারিশকৃত মাসিক ভাতা ছিল ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২০২০ সালের জীবনযাত্রার ব্যয় সূচকের ভিত্তিতে নির্ধারিত মাসিক ভাত ছিল ৩ হাজার টাকা। কিন্তু বাজেটে মাসিক ভাতা মাত্র ৮৫০ টাকা। প্রতিবন্ধী জীবনযাত্রার ব্যয় তুলনামূলকভাবে বেশি। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বেশি। তাই ভাড়া বাড়ানো সময়ের দাবি।
প্রতিক্রিয়া সভায় ডাব্লিউডিডিএফের নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন নাহার মিষ্টি সরকারের কাছে ১১টি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার জীবনযাত্রার ব্যয় সূচকের ভিত্তিতে প্রতিবন্ধীদের মাসিক ভাতা নির্ধারণ করা, গুরুতর প্রতিবন্ধীদের কেয়ারগিভারের জন্য ভাতা কার্যক্রম চালু করা, কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রকল্প নেয়া, দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ এবং প্রশিক্ষণ শেষে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, সরকারি চাকরিতে কোটা বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেয়া।
যোগাযোগ ও যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে তিনি দাবি করেন, প্রতিবন্ধীদের চলন ও যোগাযোগ সহজ করতে ধরন ও চাহিদা মোতাবেক মানসম্পন্ন সহায়ক উপকরণ যেমন- হুইলচেয়ার, ট্রাই-সাইকেল বিশেষায়িত স্কুটার, ওয়াকার, সাদাছড়ি (ম্যানুয়াল ও ডিজিটাল), ক্র্যাচ, হিয়ারিং এইড, বহনযোগ্য র?্যাম্প, ম্যাগনিফায়িং গøাস, প্রসথেটিক-অর্থোটিক (কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও অঙ্গসহায়ক উপকরণ), স্পিচ টু টেক্সট, টেক্সট টু স্পিচ, এক্সেসিবল মোবাইল অ্যাপ ব্রেইল প্রিন্টার, কিবোর্ড, হেড পয়েন্টার, জয়ন্টিক, লার্জ প্রিন্ট ম্যাটেরিয়াল, স্কিন রিডিং সফটওয়ার ইত্যাদি আমদানির ওপর শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া। অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মহুয়া পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডিজঅ্যাবন্ড চাইল্ড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাসরিন জাহান, এসডব্লিউআইডির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল মনির প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়