‘প্রস্তাবিত বাজেট তামাকমুক্ত দেশ গড়ার অন্তরায়’

আগের সংবাদ

রাজনীতির ছায়ায় ব্যবসার জাল : জামায়াতের বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক দেশ জুড়ে বিস্তৃত, গোপনে চলছিল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, এবার প্রকাশ্যে মাঠে নামার হুংকার

পরের সংবাদ

‘হর্ন বাজানো গালি দেয়ার মতোই’ : পরিবেশ দিবস আজ, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়কমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকায় দেখা যায়, যখন কোনো গাড়ি থেকে হর্ন বাজানো হয় তখন অন্যরা জানতে চান কেন হর্ন দেয়া হলো। হর্ন বাজানো গালি দেয়ার মতো। অন্য দেশগুলো সেভাবেই এটিকে মনে করে। বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৩ উপলক্ষে গতকাল রবিবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির ঘোষণা মোতাবেক ‘প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে সামিল হই সকলে’ প্রতিপাদ্যে এবং ‘সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ’ স্লোগানে এবার বাংলাদেশে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হবে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে দিবসটির উদ্বোধন করবেন। এরপরে শেরেবাংলা নগরে বৃক্ষমেলা চলবে ১২ জুলাই পর্যন্ত। তবে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ২৭ থেকে ৩০ জুন বৃক্ষমেলা বন্ধ থাকবে।
হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধ করতেই হবে জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষকে সচেতন করতে হবে। বিশেষ করে হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধ করতেই হবে। হাইড্রোলিক হর্নের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, সেজন্য আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। যার মাধ্যমে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটা করে সভা করেছি। পরবর্তীতে জেলা শহরে মসজিদের ইমাম, অন্যান্য উপসনালয়ের পুরোহিতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও চালকদের নিয়ে সভা করেছি। তারা যাতে হর্ন না বাজায়, সে বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে চেষ্টা করেছি। আমরা খুবই গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছি।

তিনি বলেন, আপনারা বলেছেন, মন্ত্রীরা হর্ন বাজানো বন্ধ করলে শব্দদূষণ অনেকটা বন্ধ হয়ে যাবে। আমি আশ্বস্ত করতে চাই, মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তারা শব্দদূষণ নীতিমালা মেনে চলবেন। শব্দদূষণ কবে বন্ধ হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, চলমান প্রক্রিয়ায় এটি করতে হবে। শব্দদূষণ ব্যবহারে আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনারা যত প্রচার করবেন, সাধারণ মানুষ তত সচেতন হবেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ বলেন, এবার সারাদেশে আমরা আন্তর্জাতিক শব্দদূষণ দিবস পালন করেছি। গত মাসে আমরা দিবসটি পালন করার সময় একদিনে সবচেয়ে বেশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। হাজার হাজার হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করে ধ্বংস করেছি।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকার কারণ সম্পর্কে পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, হর্ন নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে আমরা আরেকটি প্রকল্প নিয়েছি। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি গাড়িতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে উৎসাহিত করা হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে জনভোগান্তি হবে। সে কারণে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) শক্তিশালী করা হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীকেও প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসব যাতে মানুষকে ভোগান্তি না দিয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে পারি।
বনমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশে ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের বৃক্ষাচ্ছাদন মোট ভূমির ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে এবং বনভূমির পরিমাণ ১৪ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সরকার বনায়ন ও বন সংরক্ষণ, অবক্ষয়িত বন পুনরুদ্ধার এবং টেকসই বন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বন স¤প্রসারণ এবং বন উজাড় ও অবক্ষয় রোধে ২০০৯-২০১০ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৩ হেক্টর ব্লক এবং ২৮ হাজার ৫৫১ সিডলিং কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান সৃজন এবং ১০ কোটি ৮৬ লাখ চারা বিতরণ ও রোপণ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়