‘প্রস্তাবিত বাজেট তামাকমুক্ত দেশ গড়ার অন্তরায়’

আগের সংবাদ

রাজনীতির ছায়ায় ব্যবসার জাল : জামায়াতের বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক দেশ জুড়ে বিস্তৃত, গোপনে চলছিল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, এবার প্রকাশ্যে মাঠে নামার হুংকার

পরের সংবাদ

সমন্বয়কের আশ্বাসে ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) রেজিস্ট্রার ভবনে অধিভুক্ত রাজধানীর সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল রবিবার দুপুর দুইটা নাগাদ প্রায় দুই ঘণ্টা ইডেন কলেজের প্রধান ফটকসহ দুটি গেইট অবরোধ করার পর সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য এসে শিক্ষার্থীদের এই আশ্বাস দেন।
এর আগে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর মিছিলটি ঢাকা কলেজের সামনে থেকে ঘুরে এসে ইডেন কলেজের গেট বন্ধ করে দেয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবি আমার কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমন্বয়কারী কর্মকর্তা উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। তখন তিনি দেশের বাইরে ছিলেন বিধায় আমরা বিস্তারিত আলোচনা করতে পারিনি। কিন্তু এখন শিক্ষার্থীদের তিনজন প্রতিনিধিসহ একসঙ্গে বসে আলোচনা মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে বদ্ধপরিকর।
তিনি আরো বলেন, আমরা চাই যেন কোনো প্রকার জনদুর্ভোগ তৈরি না হয়। আমাদের ছেলেমেয়েদের সমস্যা আমরাই দেখব। সাত কলেজের শিক্ষক সংকটসহ সমস্যার যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো বরাবরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলছি। আগামীকাল (আজ) আমি নিজেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাব। ছাত্র-প্রতিনিধিদের নিয়ে উপউপাচার্যের সঙ্গে যতক্ষণ প্রয়োজন আলোচনা করব।

অন্যদিকে সাত দফা দাবি দ্রুত মেনে না নিলে ফের কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন ছাত্র প্রতিনিধি তছলিম চৌধুরী। তিনি বলেন, সোমবার সমন্বয়ক স্যারসহ আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনার জন্য যাব। সেখানে যদি সাত দফা দাবি মেনে নেয়া না হয় তাহলে মঙ্গলবার (৬ জুন) পুনরায় আন্দোলন শুরু করব। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।
শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ভবনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা ও হয়রানি বন্ধ করা; যেসব শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছে নন-প্রমোটেড তাদের মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের পরীক্ষার সুযোগ দেয়া; বিলম্বে ফলাফল প্রকাশের কারণ ব্যাখ্যা ও সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা; সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক কে বা কারা? কোথায় তাদের সমস্যাগুলো উপস্থাপন করবে তা ঠিক করে দেয়া; একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন; শিক্ষক, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সিজিপিএ শর্ত শিথিল করা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়