‘প্রস্তাবিত বাজেট তামাকমুক্ত দেশ গড়ার অন্তরায়’

আগের সংবাদ

রাজনীতির ছায়ায় ব্যবসার জাল : জামায়াতের বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক দেশ জুড়ে বিস্তৃত, গোপনে চলছিল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, এবার প্রকাশ্যে মাঠে নামার হুংকার

পরের সংবাদ

রূপগঞ্জে তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৮

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নারায়ণগঞ্জ ও রূপগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে তেলবাহী জাহাজের ইঞ্জিনরুমে বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৮ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। গত শনিবার রাত আড়াইটার দিকে রূপগঞ্জে গাজী ব্রিজ সংলগ্ন দড়িকান্দি ডকইয়ার্ডে ওটি সাংহাই-৮ নামে জাহাজে এই বিস্ফোরণ ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- জাহাজটির স্টাফ মান্নান রাহাদ (২৩), হুমায়ুন কবির (৫৪), তাজুল ইসলাম লিমন (২৪), ইমতিয়াজ আহমেদ (৪২), রুবেল (৩৮), সোহেল (৩৮), নাজমুল (৩৩) ও রাকিব (২৪)। গতকাল রবিবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ইছাপুরা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান।
তিনি জানান, দড়িকান্দি এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ করে আগুন লেগে যায় ওই জাহাজে। আগুনের লেলিহান শিখা ২০ থেকে ৩০ ফুট উচ্চতায় ওঠে যায়। এ সময় জাহাজে থাকা সব শ্রমিক দগ্ধ হয়। তাৎক্ষণিক দগ্ধ শ্রমিকদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, খবর পেয়ে কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ওই জাহাজের আগুন নেভায়। ঘটনার পর থেকে সাংহাই জাহাজের ম্যানেজার আকবর আলী পলাতক রয়েছেন।
জাহাজটির স্টাফ আ. মান্নান রাহাত জানান, তারা জাহাজটিতে করে চট্টগ্রাম থেকে নরসিংদীতে তেল নিয়ে যান। সেখানে তেল আনলোড করে তারা জাহাজটি নিয়ে রূপগঞ্জে শীতলক্ষা নদীতে তাদের ডকইয়ার্ডে ভেড়ান। রাত ১টার দিকে তারা যখন জাহাজটির ডেকের উপরে ছিলেন তখন ইঞ্জিনরুমে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। তাদের শরীরে মুহূর্তে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তারা নদীতে লাফিয়ে পড়েন। এরপর সাঁতরে পাড়ে ওঠেন। তখন সহকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
বার্ণ ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, জাহাজের আগুনের ঘটনায় দগ্ধ মোট ৮ জন রোগীকে বার্ণ ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে ৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকি ৫ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের ৪ জনেরই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। তবে ভর্তি ৫ জনের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
হুমায়ুনের শরীরের ৩০ শতাংশ, তাজুলের ৬৭, ইমতিয়াজের ৩০, রুবেলের ৪৫, সোহেলের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। আর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে রাকিব, রাহাদ ও নাজমুল নামে তিনজনকে। এদের মধ্যে রাহাদের শরীরের ১০ শতাংশ, রাকিবের এক এবং নাজমুলের শরীরের এক শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক (রূপগঞ্জ) আলম জানান, তেলের ট্যাংকারের পাম্প হাউসে বিস্ফোরণ হয়ে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এরপর ছড়িয়ে পড়ে পুরো জাহাজে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে বলে বলেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়