‘প্রস্তাবিত বাজেট তামাকমুক্ত দেশ গড়ার অন্তরায়’

আগের সংবাদ

রাজনীতির ছায়ায় ব্যবসার জাল : জামায়াতের বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক দেশ জুড়ে বিস্তৃত, গোপনে চলছিল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, এবার প্রকাশ্যে মাঠে নামার হুংকার

পরের সংবাদ

পঞ্চগড়ে মানববন্ধন : কাঁচা চা পাতার দাম বাড়ানোর দাবি

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি : জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে গতকাল রবিবার পঞ্চগড়ে চা বাগান মালিক সমিতির ব্যানারে চৌরঙ্গী মোড়ে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের পাশে আয়োজিত মানববন্ধনে কাঁচা চা পাতার দাম সর্বনি¤œ ৪০ কেজি দর নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়েছে। এদিকে কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করেছেন ক্ষুদ্র বাগান চাষিরা।
মানববন্ধনে চা বাগান মালিক সমিতির সভাপতি দিদারুল আলম, আনিসুজ্জামান নতুনসহ বাগান মালিকরা অবিলম্বে পঞ্চগড়ে অকশন মার্কেট দ্রুত বাস্তবায়ন, কাঁচা চা পাতার উপর কর্তন বন্ধ করা, ফ্যাক্টরিতে দালালের মাধ্যমে পাতা নেয়া বন্ধ করা, সরাসরি চা চাষিদের কাছ থেকে পাতা ক্রয় করা, চা চাষিদের পাতার টাকা বাকি রাখা বন্ধ করাসহ ৯ দফা দাবি জানান। রশিদে সব পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করে কোম্পানির সিল স্বাক্ষর দেয়া, পঞ্চগড়ের চায়ের মান খারাপ এমন নাটকের মূল হোতাদের মুখোশ উন্মোচন করা, (যারা বলছে পঞ্চগড়ের চায়ের মান খারাপ তারাই ব্লাক মার্কেটে সরকারের কর ফাঁকি দিয়ে সিন্ডিকেট করে যাচ্ছে), ব্লাক মার্কেটে ভালো মানের চা বিক্রি বন্ধ করার লক্ষ্যে প্রশাসনের পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেয়া, ভরা মৌসুমে কারখানা রেশনিংভাবে চালু রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করে প্রতিদিন প্রত্যেক কারখানার অন্তত ৫০% ভাগ ক্যাপাসিটি রাখার এবং পঞ্চগড়ে সরকারিভাবে চা ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠা করার দাবি চা বাগান মালিক সমিতির।
পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন জানান, গত বছর জেলায় এক কোটি ৭৭ লাখ ৭৯ হাজার কেজি চা উৎপন্ন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২৬০ কোটি টাকা। দেশে মোট উৎপাদিত চায়ের ১৯ শতাংশ চা পঞ্চগড়ে উৎপাদিত হয়েছে। এবার দুই কোটি কেজি চা উৎপন্ন হবে বলে আশা করছেন চা সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে নিবন্ধিত চা বাগান ৯ টি, অনিবন্ধিত ২১ টি এবং ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান আট হাজার ৩৫৫টি। এর মধ্যে নিবন্ধিত দুই হাজার ৫৩টিতে ১২ হাজার ৭৯ একর জমিতে চায়ের আবাদ হয়েছে।
পঞ্চগড় উপজেলা সদরের ধাক্কামারা ইউনিয়নের নলেহাপাড়া গ্রামের ক্ষুদ্র চা চাষি আমিনার রহমান অন্য ফসলের দুই একর জমিতে চা বাগান করেছেন। সেই বাগানে উৎপাদিত কাঁচাপাতা বিক্রির জন্য ১৫ দিন ধরে বিভিন্ন কারখানায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। চা চাষি আমিনারের মতো পঞ্চগড়ের অধিকাংশ ক্ষুদ্র চা চাষির একই অবস্থা।
আমিনার রহমান বলেন, নর্থবেঙ্গল চা কারখানায় আমি পাতা দিতাম। তারা আমাকে ১৫ দিন ধরে ঘোরাচ্ছেন। তাদের অনুমতি নিয়ে বাগানে পাতা কাটতে হয়। পরদিন সেই পাতা না নিলে ফেলে দিতে হবে। ১৫ দিন ধরে তিনি তারিখ দিচ্ছেন। পাতা উত্তোলনের আগের দিন মোবাইল ধরছেন না। এভাবেই আমার বাগানের পাতা বড় হয়ে যাচ্ছে। মূলত পঞ্চগড়ে ক্ষুদ্র চা বাগান এখন চা চাষিদের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। লাভের গম, ভুট্টা, বাদামসহ বিভিন্ন ফসলের জমিতে চা উৎপাদন করে কাঁচা পাতা বিক্রি করতে পারছেন না চাষিরা। আবার দীর্ঘমেয়াদি ফসল হিসেবে তৈরিকৃত আশার চা বাগান কেটে অন্য ফসলেও যেতে পারছেন না। এ নিয়ে স্থানীয় চা চাষিদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
কারখানা মালিকদের নানামুখী চালবাজির কারণে চা বিক্রি করতে না পেরে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করছেন চাষিরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়