‘প্রস্তাবিত বাজেট তামাকমুক্ত দেশ গড়ার অন্তরায়’

আগের সংবাদ

রাজনীতির ছায়ায় ব্যবসার জাল : জামায়াতের বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক দেশ জুড়ে বিস্তৃত, গোপনে চলছিল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, এবার প্রকাশ্যে মাঠে নামার হুংকার

পরের সংবাদ

দিনাজপুরে টানা ৪ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. দেলোয়ার হোসেন, দিনাজপুর থেকে : দিনাজপুরে টানা ৪ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হঠাৎ করে তাপমাত্রার পারদ ওঠায় জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। মধু মাস হিসেবে পরিচিত জ্যৈষ্ঠের তীব্র গরম আবহাওয়ায় লিচু আমসহ সব ধরনের ফল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
দিনাজপুর জেলা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান গতকাল রবিবার দুপুর আড়াইটায় সাংবাদিকদের জানান, এটি চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। রেকর্ড অনুযায়ী বিগত ৬৪ বছরে এ জেলায় সর্বোচ্চ এই তাপমাত্রা প্রবাহিত হচ্ছে। তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তীব্র গরম আবহাওয়ার কারণে বৃদ্ধ এবং শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এজন্য জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এই বিপজ্জনক আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে দুপুর বেলা অহেতুক বাইরে চলাচল করা থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে বেশি করে পানি পান করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ প্রচার করছে। আবহাওয়া অফিস আরো কয়েকদিন এরকম তাপমাত্রার আভাস দিয়েছে।
গত মে মাসের শেষ দিন বুধবার তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১ জুন থেকে গতকাল রবিবার ৪ জুন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। রাস্তায় বের হলে তীব্র গরমের অবস্থান এবং ফাঁকা রাস্তায় লক্ষ্য করা যায় অগ্নিশিখা প্রবাহিত হচ্ছে। দুপুরের দিকে ২ থেকে ১০ মিনিট রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাতায়াত করা যায় না। এই অবস্থায় দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী লিচু অতিরিক্ত গরমে গাছে এবং খাঁচায় ভরে রাখার পর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দিনাজপুর এস এ পরিবহনের কর্মকর্তা শাহাজান মিয়া জানান, গত ২ জুন দিনাজপুর থেকে লিচুর খাঁচা তাদের বড় পিকআপ ভ্যানে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পর ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ লিচু নষ্ট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন লিচুর খাঁচার মালিকরা। আজ রবিবারও যেসব লিচু ঢাকা বা আশপাশের অঞ্চলে এস এ পরিবহনে সরবরাহ দেয়া হয়েছে লিচুর খাঁচার মালিকদের কাছ থেকে একই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে আম বাগানগুলোতেও একই অবস্থা। মিছরি ভোগ, ছাতাপরা, বারি-৪, হাড়িভাঙা আম আষাঢ় মাস পর্যন্ত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও অতিরিক্ত গরমের কারণে আগাম গাছে আম পেকে যাচ্ছে। বাগান মালিকরা তাদের বাগানের আম নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। পাকা আম দুদিনের বেশি রাখতে গেলে পচে যাচ্ছে।
অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে দিনের বেলা রাস্তায় মোটরসাইকেল-অটোরিকশা-ভ্যানসহ যানবাহন চলাচল করছে খুবই কম। শ্রমজীবী মানুষ কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। নেহাত প্রয়োজন ছাড়া দুপুরে মানুষজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়