‘প্রস্তাবিত বাজেট তামাকমুক্ত দেশ গড়ার অন্তরায়’

আগের সংবাদ

রাজনীতির ছায়ায় ব্যবসার জাল : জামায়াতের বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক দেশ জুড়ে বিস্তৃত, গোপনে চলছিল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, এবার প্রকাশ্যে মাঠে নামার হুংকার

পরের সংবাদ

এভারেস্টে ১৩ পর্বতারোহীর মৃত্যু

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : চলতি বছর এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে ১৩ জন পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরো চারজন। যা এক বছরের হিসাবে এভারেস্ট জয় করতে আসাদের মধ্যে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড (এর আগে ২০১৪, ১৯৯৬ ও ২০১৫ সালে যথাক্রমে ১৬, ১৫ ও ১৩টি মৃত্যু)। তবে নিখোঁজ চারজন পর্বতারোহীকে মৃত বলে ঘোষণা করলে সে সংখ্যা দাঁড়াবে ১৭ জনে। যা এক বছরে মৃত্যুর হিসাবে সর্বোচ্চ।
পরিসংখ্যান বলছে, ১৯২২ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত এভারেস্টের সব কয়েকটি রুটে মারা গেছেন মোট ১৯৩ জন পর্বতারোহী ও ১২৫ জন শেরপা। এ বছর মৌসুমের শুরুতেই তুষারধসে তিনজন শেরপার মৃত্যু হয়। এরপর একের পর এক মৃত্যু বা নিখোঁজের খবর এসেছে উপরের ক্যাম্প থেকে। মৃতদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব আরোহী। এছাড়া অসুস্থ আরোহীদের হেলিকপ্টারে উদ্ধারও হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা।
কিন্তু কেন? এভারেস্ট ছুঁয়ে আসা বা এই অভিযানের সঙ্গে যুক্তদের অনেকেই দুষছেন বিশ্ব উষ্ণায়ন ও আবহাওয়ার পরিবর্তনকে। উষ্ণায়নের জন্য গলছে হিমবাহ, ফলে গত ২৫ বছরে সর্বোচ্চ সাউথ কল হিমবাহ ১৭৭ ফুট ঘনত্ব হারিয়েছে। এর ফল ভুগছে পাহাড়ের উপরে নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী ও আরোহীরাও।
২৮ বার সর্বোচ্চ শৃঙ্গের সামিট ছুঁয়ে রেকর্ডধারী, নেপালের কামি রিটা শেরপা বলছেন, ‘এ বছর এভারেস্টে অনেক ঠাণ্ডা ছিল। ঠিক যেন শীতকালের মতো। এত বছরে এত ঠাণ্ডা আগে অনুভূত হয়নি। এজন্য অনেকেরই ফ্রস্টবাইট হয়েছে।
নেপালের অভিযান আয়োজনকারী সংস্থা পায়োনিয়ার অ্যাডভেঞ্চারের কর্ণধার পাসাং শেরপা জানাচ্ছেন, এবার এভারেস্টের আবহাওয়া ছিল ‘অন্যরকম’। যার ফলে অনেকেই অতি উচ্চতাজনিত অসুস্থতায় (হাই অলটিটিউড সিকনেস) ও চোখের সমস্যায় ভুগেছেন। ফ্রস্টবাইটের শিকার হয়েছেন শেরপারাও! রুট খুলতে দিনদশেক দেরি হওয়ার কারণে ভালো আবহাওয়ার দিনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় হুড়োহুড়ি বেশি হয়েছে বলেও মনে করছেন পাসাং।
তবে আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অদক্ষ, অল্প প্রস্তুতি নিয়ে আসা আরোহী ও অনভিজ্ঞ শেরপাদেরও কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। কামি রিটার সাফ বক্তব্য, কোনো আরোহী শেরপার পরামর্শ না শুনে অতি উচ্চতায় নিজের একগুঁয়েমির জন্য মারা গেছেন।
কেউ আবার কম খরচে অভিযানে সারতে গিয়ে অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ শেরপাকে সঙ্গী করে খেসারত দিয়েছেন। শেরপা-অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়া সামিট করতে গিয়েও বিপদে পড়েছেন কেউ কেউ। তাই যথেষ্ট উচ্চতাজনিত প্রস্তুতি ও পাহাড়ে চলার অভিজ্ঞতা নিয়ে শেরপার সঙ্গেই এভারেস্টের পথে পা বাড়ানো উচিত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়