করমণ্ডল এক্সপ্রেস : চেন্নাইগামী ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত শতাধিক, বাংলাদেশি যাত্রী থাকার আশঙ্কা

আগের সংবাদ

দেয়াল

পরের সংবাদ

প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানাল ডিএসই : স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে প্রথম বাজেট

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেছেন, বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখাসহ অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় সরকারের কৌশল এবং বিভিন্ন সংস্কারের ঘোঘণা দেয়া হয়েছে। বাজেটে ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণসহ বর্তমান সরকার বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করেছেন।
এর ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর চিন্তাপ্রসূত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের ৪টি মূল স্তম্ভ- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট ইকোনমি গঠনের প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে প্রথম বাজেট। যা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনারই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এবারের বাজেটে সঙ্গত কারণেই স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
ডিএসই মনে করে উন্নয়ন ও উৎপাদনমুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থনীতিকে গতিশীল করার কৌশল নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ, উন্নয়ন ও উৎপাদনমুখী যে তা পরিকল্পিত কর্মপন্থা ও ব্যবস্থাপনা কৌশল বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে সেজন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বাজেট প্রস্তাবনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।
এছাড়া সরকার পুঁজিবাজারকে আন্তর্জাতিককরণের লক্ষ্যে নানাবিধ সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রস্তাবিত বাজেটে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুঁজিবাজারের সহায়ক ইকোসিস্টেম ও সার্বিক সুযোগ সুবিধার উন্নয়ন করার জন্য আগের বছরের বাজেটের পুঁজিবাজারবান্ধব নীতি বলবত রাখায় ডিএসইর পক্ষে অর্থমন্ত্রীকে আবারো অভিনন্দন জানাচ্ছি। একইসঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পুঁজিবাজারকে প্রাণবন্ত ও বিনিয়োগবান্ধব করার লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে নি¤েœাক্ত প্রণোদনাগুলো বিবেচনার দাবি জানাচ্ছে, যা বাজেট ঘোষণার আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে প্রস্তাবনা আকারে জমা দেয়া হয়েছিল।
বন্ড থেকে সুদের আয়ের ওপর কর অব্যাহতি : বর্তমানে করপোরেট বন্ডের বাজারের আকার খুবই ছোট, যা পুঁজিবাজারের পাশাপাশি অর্থ বাজারেও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা তৈরি করে। একটি কার্যকরী বন্ডবাজার অর্থনীতিকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করতে পারে। যদি সব ধরনের বন্ডের সুদ অব্যাহতির আওতায় আনা হবে, তখন একটি শক্তিশালী বন্ডবাজার সৃষ্টিতে উৎসাহিত করবে।
লভ্যাংশ আয়ের ওপর উৎসে কর সম্পূর্ণ এবং চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হিসেবে বিবেচনাকরণ : কোম্পানিগুলো করপরবর্তী মুনাফা থেকে লভ্যাংশ দিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে লভ্যাংশের ওপর কর এক ধরনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের করারোপণ। লভ্যাংশের ওপর উৎসে কর চূড়ান্ত কর হিসেবে বিবেচিত হলে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে উৎসাহিত হবে।
স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেকহোল্ডারদের উৎসে কর হ্রাস : ডিএসইর ট্রেকহোল্ডার কোম্পানির প্রধান আয় (টার্নওভার) হচ্ছে কমিশন। যদি বেশি হারে কর নেয়া হয়, তবে ট্রেকহোল্ডার কোম্পানির পক্ষে টিকে থাকা এবং পুঁজিবাজারে অবদান রাখা কঠিন হবে।
তালিকাভুক্ত এসএমই কোম্পানিগুলোর জন্য হ্রাসকৃত-রেয়াতযোগ্য হারে কর আরোপ : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডে তালিকাভুক্ত এসএমই কোম্পানিগুলোকে পর্যাপ্ত পরিমাণ কর প্রদান করতে হয়, যা কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এবং এসএমই কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য উৎসাহ হারাচ্ছে। এর ফলে এ সমস্ত কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কর আদায় সম্ভব হচ্ছে না। যদি এই জাতীয় কোম্পানিগুলোকে হ্রাসকৃত হারে কর ছাড়ের অনুমতি দেয়া হয় তবে কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্তির জন্য উৎসাহিত হবে এবং দীর্ঘমেয়াদে সরকারের কর আদায় বৃদ্ধি পাবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড আশা করে সরকারের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে উল্লেখিত বিষয়সমুহ অন্তর্ভুক্ত করলে বাজারে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং জাতীয় অর্থনীতি আরো গতিশীল হবে। এতে করে বেসরকারি খাত আরো শক্তিশালী ও বিকশিত হয়ে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে যা দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরো বেশি আকৃষ্ট করবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বিশ্বাস করে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের অন্যতম মাধ্যম হলো দেশের পুঁজিবাজার। তাই ‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারকে সরকার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে বলে ডিএসই মনে করে। ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, এ বাজেট হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পঞ্চম বাজেট ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়