তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে আরো দুজনের সাক্ষ্য

আগের সংবাদ

সিগন্যালের ভুলেই দুর্ঘটনা : শোকে কাতর পুরো ভারত > তিন ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ২৮৮, আহত সহস্রাধিক

পরের সংবাদ

তথ্যমন্ত্রী : বাজেট নিয়ে সমালোচনা গৎবাঁধা-গতানুগতিক, বাজেটের সমালোচনা করে নানা জায়গা থেকে ফান্ড পায় সিপিডি

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে গণমুখী ও গরিববান্ধব বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, বাজেটের সমালোচকদের সমালোচনা বরাবরের মতোই গৎবাঁধা ও গতানুগতিক। অনেকে বাজেট ভালোভাবে না দেখেই তাড়াহুড়া করে সমালোচনায় ব্যস্ত হন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫তম বাজেট এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০তম বাজেট এটি। বর্তমান বাজেট ২০০৮-০৯ অর্থবছরের চেয়ে প্রায় নয়গুণ বড়। পিপিপিতে ২০০৯ সালের একশ বিলিয়ন ডলার জিডিপির তুলনায় এখনকার জিডিপি এক ট্রিলিয়ন প্লাস ডলার, অর্থাৎ প্রায় দশগুণ বড়, যা নিঃসন্দেহে দেশের অগ্রগতি সমৃদ্ধির পরিচায়ক।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বময় মন্দা, ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলার সংকটের কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে শৈথিল্য আসায় বাজেট প্রণয়ন বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তারপরেও এবারের বাজেট গত বছরের তুলনায় প্রায় ১ লাখ হাজার কোটি টাকা বেশি। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম বেড়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আরো মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে আনা ও বিভিন্ন ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বাজেটের সবচেয়ে বড় উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, আগামী অর্থবছরেই প্রথম সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল বা নেতা এ ধরনের সার্বজনীন পেনশন চালুর প্রস্তাব দেয়নি।
আয়কর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের কর ও জিডিপির অনুপাত দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বনি¤œ। ১৪ বছরে জিডিপি প্রায় দশগুণ, বাজেট নয়গুণ বাড়লেও আয়কর দেয়ার হার বেড়েছে মাত্র ৩ গুণ। ২০০৯ সালে ১১ লাখ মানুষ আয়কর দিত, গত বছর দিয়েছে ২৯ লাখ। অথচ দেশে অন্তত ২ কোটি মানুষ আয়কর দিতে সক্ষম। কিন্তু মানুষ কর দেয় না। তাই করের আওতা বাড়ানো অযৌক্তিক নয়।
আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে এ বাজেট লুটপাটের- বিএনপির এমন সমালোচনা জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে বাজেট দেয়ার আগে প্যারিস কনসোর্টিয়ামে ছুটে যেতেন সাহায্যের জন্যে। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজেট কোনোভাবেই বিদেশি সাহায্যনির্ভর নয়। বিএনপি লুটপাটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, তারা পরপর পাঁচবার দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল। তাদের মুখে লুটপাটের অভিযোগ শুনলে হাসি পায়।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি বাজেটকে বাস্তববিবর্জিত বলেছে, এ নিয়ে প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৪ বছরে সিপিডি বাজেটের প্রশংসা করতে পারেনি। এ বছর তো বাজেট প্রস্তাব অধিবেশন চলমান থাকা অবস্থায়ই তারা বলেছে, এই বাজেট উচ্চাভিলাষী, বাজেট বাস্তবায়ন হবে না। অথচ বাংলাদেশের বাজেট বাস্তবায়নের গড় হার ৯৭ শতাংশ। এ সময় দেশের জিডিপি বেড়েছে, দারিদ্র্য ৪১ শতাংশ থেকে কমে ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে। এগুলো তাদের চোখে পড়ে না। আসলে সিপিডিকে তাদের পাণ্ডিত্য দেখাতে হয় এবং ভুল ধরাটাই তাদের পেশা। এভাবেই তারা নানা জায়গা থেকে ফান্ড পায়। এ কারণেই তারা প্রশংসা করতে পারে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়