শিক্ষা খাত : জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবি মাদ্রাসা শিক্ষকদের

আগের সংবাদ

প্রত্যাশার চাপে হিমশিম অর্থমন্ত্রী : তাদের দাবি ও সুপারিশের প্রতিফলন দেখতে চায় বিভিন্ন চেম্বারসহ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো

পরের সংবাদ

পরিবেশ পেলে কমবে মাতৃমৃত্যু

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইচের গবেষণা : দক্ষ মিডওয়াইফ সঠিক কাজের

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের প্রতিটি প্রান্তে মিডওয়াইফের সেবা সহজলভ্য করা গেলে নিরাপদ স্বাভাবিক প্রসব বাড়বে। সেই সঙ্গে কমবে সিজারিয়ান প্রসব, প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুঝুঁকি।
‘মিডওয়াইফদের কর্মপরিবেশ এবং তাদের দক্ষতা প্রয়োগের পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক গবষেণায় এমন তথ্যই মিলেছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্যবিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ (ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইচ) সম্প্রতি এই গবেষেণা করেছে।
আন্তর্জাতিক নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। গতকাল রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সহযোগিতায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডওয়াইফারি এডুকেশন প্রোগ্রাম তাদের আদাবর একাডেমিক সাইটে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন নগর স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইচের অধ্যাপক ড. জাহিদুল কাইয়ূম। সভাপতিত্ব করেন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আহমেদ মুশতাক রাজা চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন মিডওয়াইফারি এডুকেশন প্রোগ্রামের প্রধান ডা. শারমিনা রহমান, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি প্রমুখ। ২৫৬ জন পেশাজীবী মিডওয়াইফের ওপর পরিচালিত এই জরিপ থেকে বেশ কিছু সুপারিশ উঠে এসেছে। মিডওয়াইফরা তাদের পেশা সম্পর্কে আশাবাদী এবং তাদের পেশার উন্নয়নে কিছু ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
গবেষণায়, স্বাস্থ্যসেবা খাতে কার্যকরভাবে মিডওয়াইফদের দক্ষতা কাজে লাগানোর যে সুযোগ আর তার পাশাপাশি যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেগুলোর দিকেও আলোকপাত করা হয়। গবেষণার মূল লক্ষ্য ছিল দেশে মিডওয়াইফদের কাজের পরিবেশটা ঠিক কেমন তার একটি চিত্র তুলে ধরা এবং তাদের কর্মদক্ষতাকে সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে কীভাবে গর্ভবতী মা ও তার নবজাতকের সঠিক সেবার আরো উন্নতি করা যায় তার অনুসন্ধান করা।
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, মিডওয়াইফরা তাদের কর্মক্ষেত্রে ‘মিডওয়াইফ’ পদবি নিয়ে নিযুক্ত হওয়ার পরও প্রায়ই তাদের পেশাগত ভূমিকার পরিবর্তে নার্সিং সেবা দিতে কিংবা অন্যান্য প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।

সরকারি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় এই চিত্র বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেশি। যেখানে মিডওয়াইফরা নিয়মিতভাবেই নার্সের কাজ করছে। বক্তারা বলেন, মিডওয়াইফদের শুধু নিয়োগ করলেই হবে না, তাদের কাজটা ঠিকভাবে করতে দিতে হবে। গর্ভবতী মা এবং তার নবজাতকের জন্য যে সেবাগুলো তার দেয়ার কথা, তাকে সেই সেবাটাই ঠিকভাবে দিতে হবে। মিডওয়াইফকে দিয়ে নার্সের কাজ করানো যাবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়