শিক্ষা খাত : জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবি মাদ্রাসা শিক্ষকদের

আগের সংবাদ

প্রত্যাশার চাপে হিমশিম অর্থমন্ত্রী : তাদের দাবি ও সুপারিশের প্রতিফলন দেখতে চায় বিভিন্ন চেম্বারসহ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো

পরের সংবাদ

লালদীঘির জনসভায় বক্তারা : আ.লীগ জনগণের সঙ্গে ছিল, আছে ও থাকবে

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অতীতেও অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যাচেষ্টা হয়েছে। কোনো ষড়যন্ত্রই আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি, পারবেও না। বরং যারা আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিতে চেয়েছে তারাই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে এবং হবে। কারণ আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের সঙ্গে ছিল, আছে এবং থাকবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগে আর কেউ অপরিহার্য নয়। তিনিই একমাত্র নেত্রী এবং আমরা সবাই তার বিশ্বস্ত কর্মী। এটাই আমাদের অহংকার ও গর্ব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের হুমকি ও বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে গতকাল রবিবার বিকালে আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খানম এমপি বলেন, এই বিপ্লব তীর্থ চট্টগ্রাম এম.এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, এম. এ হান্নান ও চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর চট্টগ্রাম। এই মাটি কখনো পরাভব মানেনি। যারা স্বাধীনতা চায়নি এবং এখনো পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখছে, এই মাটি থেকেই তাদের মরণযাত্রা শুরু হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ বছর ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকাকালে একটি অনুন্নত ও গরিব দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। অনেক দুর্যোগ-দুর্বিপাকের মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবেই। এটা হয়তো বা কোনো কোনো মহলের সহ্য হচ্ছে না। তাই তারা বিগত দিনে কম করে ২১ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালিয়েছে। আল্লাহর রহমতে সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন এবং আমাদের সবার মঙ্গল, কল্যাণ ও প্রগতির জন্য তিনি বেঁচে থাকবেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেন, একমাত্র বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগে আর কেউ অপরিহার্য নয়। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অতীতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। এখনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে এবং ষড়যন্ত্র হবেই। তবে কোনো ষড়যন্ত্রই আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি। বরং যারা আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিতে চেয়েছে তারাই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, কোনো শক্তি আওয়ামী লীগকে রুখতে পারবে না। যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠানোর হুমকি দিয়েছে তাদেরই কবরে যেতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, আমরা অনেক সহ্য করেছি আর সহ্য করব না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়া মাত্রই আমরা ডাইরেক্ট অ্যাকশনে যাব। মনে রাখতে হবে, এটা ১৯৭৫ সাল নয়, এটা ২০২৩ সাল। আগামী বছর জানুয়ারিতে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার জন্য এখন থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। জনসভা চলাকালে মঞ্চের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় যুবলীগের কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়। এতে কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন। পরে নেতাকর্মীদের মধ্যস্ততায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। দুটি গ্রুপকে দুদিকে সরিয়ে দেয়া হয়। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী ও শফিকুল ইসলাম ফারুকের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপত্বি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়