শিক্ষা খাত : জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবি মাদ্রাসা শিক্ষকদের

আগের সংবাদ

প্রত্যাশার চাপে হিমশিম অর্থমন্ত্রী : তাদের দাবি ও সুপারিশের প্রতিফলন দেখতে চায় বিভিন্ন চেম্বারসহ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো

পরের সংবাদ

জন্মদিনে ‘সঠিক তদন্ত’ দাবি : কয়েক ঘণ্টা পরই না ফেরার দেশে দুরন্ত বিপ্লবের মা

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ নেতা দুরন্ত বিপ্লবের মৃত্যুর ঘটনায় ‘সঠিক তদন্তের’ দাবি করে জন্মদিনে সংবাদ সম্মেলনের কয়েক ঘণ্টা পরই না ফেরার দেশে চলে গেছেন তার মা রোকেয়া আক্তার খাতুন। গত শনিবার রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বিপ্লবের বোন শাশ্বতী বিপ্লব জানান, রবিবার বাদ জোহর জাপান গার্ডেন সিটিতে তার মায়ের জানাজা শেষে রায়েরবাজার বধ্যভূমির পেছনে কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ থেকে মোহাম্মদপুরে মায়ের বাড়িতে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন বিপ্লব। দুদিন পর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় জিডি করে তার পরিবার। এরপর ১২ নভেম্বর বিকালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাগলা ঘাট এলাকার বুড়িগঙ্গা থেকে ভাসমান একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে স্বজনরা এটিকে দুরন্ত বিপ্লবের বলে শনাক্ত করে। তার মরদেহের ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসক সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বিপ্লব ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ হয়েছেন। এরপরই বিপ্লবের ছোটবোন শাশ্বতী বিপ্লব দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। চিকিৎসক ও পরিবার হত্যার সন্দেহের কথা বললেও পুলিশ এটিকে দুর্ঘটনা বলে দাবি করে। ঘটনার ছায়াতদন্তে নেমে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনও (পিবিআই) একই কথা জানায়। তবে দুরন্তের মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলতে নারাজ ছিলেন তার মা রোকেয়া আক্তার। ঘটনাটিকে তিনি ‘হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে বর্ণনা করে সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
এদিকে দুরন্ত বিপ্লবের জন্মদিনে শনিবার বিকাল ৩টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘জাস্টিস ফর দুরন্ত বিপ্লব’ নামে একটি বই এর প্রকাশনা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দুরন্ত বিপ্লবের মা। বইটিকে ‘দুরন্ত বিপ্লব হত্যাকাণ্ডের ডকুমেন্টারি এভিডেন্স বা দালিলিক সাক্ষ্য’ বলে এদিন দাবি করে তার পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে রোকেয়া আক্তার বলেছিলেন, দুরন্তের বন্ধু-বান্ধব, বড় ভাই, ছোট ভাই সবাই তাকে চেনে। আমি মা হিসেবে তাকে যতটা চিনেছি, তা বর্ণনাতীত। এটা সত্য সে পানিতে ডুবে মরেনি। দুরন্তকে তার সার্কেলের লোকজন, যাদের সঙ্গে চলাফেরা করত, এদের মধ্যেই কারো স্বার্থে আঘাত লেগেছে, সে কারণে তাকে হত্যা করেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুরন্ত বিপ্লব ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি ও সমবায়বিষয়ক উপকমিটির সদস্য।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়