শিক্ষা খাত : জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবি মাদ্রাসা শিক্ষকদের

আগের সংবাদ

প্রত্যাশার চাপে হিমশিম অর্থমন্ত্রী : তাদের দাবি ও সুপারিশের প্রতিফলন দেখতে চায় বিভিন্ন চেম্বারসহ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো

পরের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ : রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় মুক্ত জোসেফ ফের তৎপর

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফ রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ক্ষমা পেয়ে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তোফায়েল আহমেদ জোসেফ আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রক বনে গেছেন- এমন অভিযোগও করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব ও ৩২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। গতকাল রবিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তারা। লিখিত বক্তব্যে রাজীব দাবি করেন, একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির ভাতিজাকে কাউন্সিলর বানাতে ও জোসেফ-হারিস-আনিসের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য পরিকল্পিতভাবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই বিশেষ মহলের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে নিরাপত্তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান রাজীব বলেন, খুব অল্প বয়সে আমার সাফল্য দেখে ঈর্ষান্বিত হয় ঢাকার সন্ত্রাসীগোষ্ঠী তোফায়েল আহমেদের জোসেফ-হারিস-আনিস গং। তাদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ২০১৯ সালের অক্টোবরে আমাকে গ্রেপ্তার করানো হয়। এসব কিছু করা হয়েছে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তার সন্ত্রাসী ভাইদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য। তিনি আরো বলেন, আমাকে আটকের পর রাতভর আমার বাসা ও অফিসে তল্লাশি অভিযান চলেছিল। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তাদের মতো করে সন্ধান করেছে। তারা আমার সঙ্গে কোনো ক্যাসিনো সম্পৃক্ততা পায়নি। অথচ সেই অভিযান ছিল ‘ক্যাসিনো অভিযান’। অঢেল সম্পদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশে আমার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য-প্রমাণও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তে পায়নি। সাবেক এ কাউন্সিলর বলেন, নব্বই দশক থেকে জোসেফ-হারিস পরিবার ঢাকা শহরের সন্ত্রাসীগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। তবে তারা রাজনৈতিকভাবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়। মোহাম্মদপুর তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পুরনো অভয়ারণ্য। সেই এলাকার একজন কাউন্সিলর ছিলাম আমি। তিনি আরো অভিযোগ করেন, একজন প্রভাবশালীর ‘ভাতিজা আসিফ আহমেদ’কে কাউন্সিলর বানাতে পরিকল্পিতভাবে আমাকে গ্রেপ্তার করানো হয়েছিল। ২০১৯ সালে গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত আমার নামে একটা মামলা কিংবা জিডি পর্যন্ত ছিল না। কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত না হয়েও শুধু ওই সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর প্রভাবে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিজানের ভাই মোস্তাফিজুর রহমানকে ১৯৯৬ সালে হত্যা করা হলে সেই মামলায় আসামি করা হয় জোসেফ ও তার দুই ভাইকে। সেই মামলায় তাদের দণ্ড হলে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে ক্ষমা পেয়ে জোসেফ কারামুক্ত হয়েছে। ভাই হত্যার মামলা করায় মিজান নাম হওয়ার কারণে কারাবন্দি ফ্রিডম পার্টি নেতা মিজানুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজান বলে তাকে প্রচার করা হয়। অথচ সাবেক এই কাউন্সিলরের নাম হাবিবুর রহমান মিজান। তার দাবি বিশেষ ব্যক্তির নির্দেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই অভিযোগের সবই মিথ্যা ও সাজানো দাবি করে মিজান বলেন, শুধু প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে তাকে আটক করা হয়েছিল। এখন তিনি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। প্রাণভয়ে ওই বিশেষ ব্যক্তির নাম না বললেও সাবেক এই দুই কমিশনার দাবি করেছেন, মোহাম্মদপুরসহ আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণ এখন জোসেফের হাতে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়