টিপু হত্যা মামলা : আসামি জিতুর জামিন শুনানি মুলতবি

আগের সংবাদ

সুষ্ঠু ভোটে সন্তোষ প্রকাশ স্থানীয়দের

পরের সংবাদ

ঢাবির হলে ৪ ছাত্রকে মারধর

প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে মারধর করে মাস্টারদা সূর্যসেন হল ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী চার শিক্ষার্থী।
গত মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমানের কক্ষে নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের হল থেকে বের করে দেয়া হয়। ভুক্তভোগী চার শিক্ষার্থী হলেন- ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আলম বাদশা, একই বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের লুতফর রহমান, আরবি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আশিকুর রহমান ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আল-আমিন।

মঙ্গলবার তারা হল প্রশাসন বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হলের সিনিয়র হাউস টিউটর শহীদ কাজীকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাকির হোসেন ভূঁইয়া জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে চার শিক্ষার্থী বলেন, মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ৫৩২ নম্বর কক্ষে তারা ছয়জন থাকেন। সেখানে সুমন আহমেদ নামে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী অবৈধভাবে থাকেন। স¤প্রতি তাকে হল থেকে বের হয়ে যেতে বললে সুমন বিষয়টি সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমানকে জানান। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ তাদেরকে সিয়াম রহমানের ৪৫০ নম্বর কক্ষে ডেকে নেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা সেখানে গেলে দেখতে পাই সিয়াম রহমান এবং সুমন আহমেদের সঙ্গে আগে থেকেই লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান করছিলেন হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি হামিদ কারজাই, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ জামান অভি, উপআইন সম্পাদক মুহাম্মদ তালহা, আপ্যায়ন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম নীরব। আমরা রুমে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মোবাইল কেড়ে নেয়। আমাদের মোবাইল চেক করতে থাকে। মোবাইলে আশানুরূপ কিছু না পেয়ে উপর্যুপরি কিল, ঘুসি ও লাথি মারতে থাকেন আমাদের চারজনকে। সুমন আহমেদকে রুম থেকে চলে যেতে বলায় আমরা আর হলে থাকতে পারব না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।
তারা আরো বলেন, আমাদের কাছ থেকে আলাদা চারটা মুচলেকা নেয় এই বলে যে, আমরা বর্তমানে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নই তাই হল থেকে স্বেচ্ছায় বের হয়ে যাব।
অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে সিয়াম রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না থেকে তারা ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে একজন শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দিতে পারে না। আমি পরে জানতে পারি, ওই রুমে গেস্ট নিয়ে রাখত। যার ফলে সুমনকে রাখতে চাচ্ছিল না। তারা আমার নামে সিন্ডিকেট তৈরি করে প্রভাব খাটাত। পরে তাদের মুঠোফোন ঘাটাঘাটি করলে পদ্মা সেতু নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক ছবি দেখতে পাই। বিষয়টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানাতে চাইলে তারা নিজেরাই হল ছেড়ে দেবে বলে মুচলেকা দেয়। তাদের যদি লাঠিসোটা দিয়ে পেটাই তাহলে তারা তো গতকাল (মঙ্গলবার) রাতেও হলে ছিল। তাদের তো ভয়েই থাকার কথা না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়