বেগম রাশেদা সুলতানা : ইসির ক্ষমতা খর্ব হয়নি বরং কিছুটা বেড়েছে

আগের সংবাদ

প্রচারযুদ্ধ শেষ, ভোটের অপেক্ষা : উৎসবমুখর গাজীপুর > শেষ দিনে প্রার্থীদের শোডাউন > আয়োজন সম্পন্ন

পরের সংবাদ

স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িত না হওয়ায় স্কুলছাত্র সিয়াম খুন : পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার দুই

প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালামে সিয়াম (১৪) নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। গত রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দারুস সালামের লালকুঠির বসুপাড়া এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল বিকেলে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মামলা থেকে চিহ্নিত অনেকের নাম বাদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, প্রকাশ্যে সিয়ামকে গলা ধরে টেনে নিয়ে হত্যা করে ২০/২৫ জনের সন্ত্রাসী গ্রুপ। সিয়ামকে ধরে নেয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আর পুলিশ বলছে, সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তবে কী কারণে সিয়ামকে হত্যা করা হলো সে বিষয়ে মুখ খুলছে না কেউ।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় রাজনীতিতে যুক্ত না হওয়ায় খুন করা হয়েছে কিশোর সিয়ামকে। একই কারণে গত ৪ মে বিকালে দারুস সালামের বাগবাড়ী এলাকায় কবিরুল ইসলাম অপু নামে এক ব্যবসায়ীকে তার মায়ের সামনে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। অপুর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পরদিন ১০ জনের নাম উল্লেখ করে দারুস সালাম থানায় মামলাও দায়ের করা হয়। এর ১৫ দিন পরই ঘটলো সিয়াম হত্যাকাণ্ড।
নিহত সিয়ামের মা স্বপ্না বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, লালকুঠি এলাকার কবি নজরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল সিয়াম। কয়েক মাস আগে ঢাকায় আসায় এখানকার পরিবেশ সম্পর্কে তেমন কিছুই বুঝে উঠতে পারেনি সে। এরই মধ্যে সন্ত্রাসীরা সিয়ামকে মেরে ফেলল। তিনি আরো বলেন, বিনা কারণে সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। কারা জড়িত, এ বিষয়ে বলতে চাই না। তবে পুলিশ প্রথমে ওই প্রভাবশালী গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা নিতে চায়নি। অনেক গড়িমসির পর চিহ্নিত কয়েকজনের নাম বাদ দিয়ে মামলা নিয়েছে। আমি সিয়াম হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনার সময় সিয়ামের সঙ্গে থাকা তার বন্ধু শীতল হোসেন বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় আমরা ১০/১৫ জন বন্ধু একসঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলাম। রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে বসুপাড়ার একটি গাছ থেকে আম পড়েছে ভেবে সেখানে যাই আমি, সিয়াম ও আসিফ। ঝড়ে কোনো আম না পড়ায় নিজেরাই আম পাড়ার চেষ্টা করি।
এ সময় লাইটের আলোতে দেখতে পাই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ২০/২৫ জন যুবক আমাদের দিকেই তেড়ে আসছে। তাদের মধ্যে রকি, ফরিদ, রুবেল ওরফে পটেটো রুবেল, ইমরান ও জার্মানি মাসুদকে দেখে আতঙ্কে দৌড়ে পালিয়ে যাই। সিয়াম দৌড়ে পিছিয়ে পড়লে সন্ত্রাসী গ্রুপটি ওকে ধরে ফেলে। পরে জানতে পারি সিয়ামের পেটে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক আহত করে পালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় সিয়ামকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে দারুস সালাম থানার ওসি আমিনুল বাশার বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়