রাজধানীতে ধারণক্ষমতার ৬ গুণ যানবাহন চলাচল করে : ডিএমপি কমিশনার

আগের সংবাদ

মাছ সংরক্ষণ কর্মসূচি : জেলেদের প্রতিও নজর দিতে হবে

পরের সংবাদ

ফের কোয়াবের নেতৃত্বে দুর্জয়-দেবব্রত

প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পুনরায় নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে সভাপতি ও দেবব্রত পালকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে গতকাল ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর থেকে দায়িত্ব পালন করছিলেন তারা।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া প্লাজায় শুরু হয় কোয়াবের প্রথম এজিএম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বিসিবির পরিচালকসহ বোর্ড কর্মকর্তা ও দেশের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা। তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসানরা না থাকলেও সব মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ক্রিকেটারকে দেখা যায় অনুষ্ঠানে। কোয়াব ক্রিকেটারদের কল্যাণসংক্রান্ত একটি সংগঠন। গতকালের সাধারণ সভায় নিজের বক্তব্যে কোয়াব সভাপতি দুর্জয় জানান তিনি আর দায়িত্বে থাকতে চান না। নতুন কেউ দায়িত্ব নিলে তিনি সানন্দে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে রাজি আছেন। সভার মাঝামাঝি সময়ে কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল জানান, যারা কোয়াবের ব্যবস্থাপনা পরিষদে থাকতে চান তারা যেন নিজ নিজ নাম জমা দেন। এরপর এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় পেরিয়ে গেলেও কেউ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করতে ইচ্ছা পোষণ করেননি। তাই কোনো নামও জমা পড়েনি। এই তথ্য জানা যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সিনিয়র পরিচালক ও নির্বাচন কমিশনার মাহবুব আনামের বক্তব্যে।
বিসিবি পরিচালক ও সাবেক ক্রিকেটার তানভির ইসলাম টিটু প্রস্তাব দেন যেহেতু নতুন কেউ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী নন, তাই পুরনো সভাপতি ও সম্পাদকই দায়িত্ব পালন করুক। এরপর তিনি পুরনো সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে পুনর্বহাল করতে সবার সম্মতি চাইলে উপস্থিত ক্রিকেটাদের সিংহভাগই হাত তুলে সমর্থন জানান। আর তাতেই পুরনো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নতুন করে কোয়াবের নেতৃত্বস্থানীয় হিসেবে মনোনীত হন।
নতুন করে দায়িত্ব পাওয়ার পর নিজেদের কাজের পরিধি নিয়ে দুর্জয় বলেন, ‘আমাদের কাজ করার যে পরিধি, সেটা একই থাকবে। এর সঙ্গে নতুন কিছু সংযোজন করব। আজকেও আমরা বোর্ড প্রেসিডেন্টের কাছে কিছু দাবি, অনুরোধ তুলে ধরেছি। যেগুলো ক্রিকেটারদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট। সেগুলো বাস্তবায়ন করে আরো নতুন কিছু পরিকল্পনা হাতে নেয়া হবে।’
এছাড়া অনুষ্ঠানে দেশের ক্রিকেটে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২৯ জন ক্রিকেটারকে সম্মাননা প্রদান করে কোয়াব। প্রথমে সম্মাননা দেয়া বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে। এরপর সম্মাননা দেয়া হয় স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসানকে। মরণোত্তর সম্মাননা দেয়া হয় জালাল আহমেদ চৌধুরী, আফজালুর রহমান সিনহা ও নাদির শাহকে। পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে অপরিসীম অবদানের জন্য সম্মাননা দেয়া হয় মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। তবে তাদের কেউই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। নারী ক্রিকেটে অবদানের জন্য সম্মাননা দেয়া হয় সাবেক অধিনায়ক সালমান খাতুন ও ফারজানা হক পিংকিকে। ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের দিন বদলে অবদান রাখার জন্য সম্মাননা দেয়া হয় আকরাম খানকে। ভয়েস অব বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিত সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খানকেও দেয়া হয় সম্মাননা। ক্রিকেট কোচিংয়ে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা দেয়া হয় খালেদ মাহমুদ সুজন ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে। ক্রিকেটার থেকে আন্তর্জাতিক আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি হওয়ায় সম্মাননা দেয়া হয় নিয়ামুর রশিদ রাহুল, শরফুদ্দৌলাহ ইবনে বিন সৈকত ও মাসুদুর রহমান মুকুলকে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক আকবর আলীও সম্মাননা পান। এছাড়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অবদান রাখার জন্য তুষার ইমরান, নাঈম ইসলাম, জিয়াউর রহমান, অলক কাপালী, রাজিন সালেহ, জহুরুল ইসলাম অমি, মার্শাল আইয়ুব, এনামুল হক জুনিয়র ও সৈয়দ রাসেলকে সম্মাননা দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়