কাগজ প্রতিবেদক : সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার রিফিল কারখানায় বিস্ফোরণে শিশুসহ ৫ জন দগ্ধের ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম শরিফুল ইসলাম (২২)। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, শরিফুলের শরীরের ৯৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আশুলিয়ার তেতুলতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ওইদিন দুপুর দেড়টার দিকে বার্ন ইনস্টিটাউটে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছে শরিফুলের ছেলে সোহাগ (৬), কারখানাটির ব্যবস্থাপক বিল্লাল (৩৫) ও কর্মচারী নুরনবী (১৮)। দগ্ধ আরেকজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মৃত শরিফুলের স্ত্রী সোনালী আক্তার জানান, তারা আশুলিয়ার তেতুলতলা এলাকায় থাকেন। তিনি গার্মেন্টসে চাকরি করেন আর স্বামী শরিফুল রিকশা চালাতেন।
ওইদিন সকালে সোনালী গার্মেন্টসে থাকা অবস্থায় খবর পান, তাদের বাসায় আগুন লেগে স্বামী-সন্তান দগ্ধ হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, আশুলিয়া জামগড়া এলাকায় একটি টিনসেড ঘরে বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। ঘটনাস্থলে টিনশেডের সাতটি ঘর আছে। পাঁচটি ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হতো। ধারণা করা হচ্ছে, সেই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণেই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, সোহাগের শরীরের ২০ শতাংশ, নুরনবীর ৪৩ ও বিল্লালের ৩৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।