আরাভ খানের অস্ত্র মামলার রায় ৯ মে

আগের সংবাদ

রাজধানীজুড়ে মশার রাজত্ব : ৪ ভাগ বাড়িতে এডিস মশা, বেশি দক্ষিণে, সমন্বিত কার্যক্রম চালাবে দুই সিটি

পরের সংবাদ

৪ কারবারী গ্রেপ্তার : রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাদক ও অস্ত্রের চালান ঢাকায়

প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ এক মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। ওই কারবারীর নাম রতন খন্দকার। গতকাল সোমবার যাত্রাবাড়ী এলাকার ইলিশ বাস কাউন্টারের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার ব্যাগ তল্লাশি করে দুটি পিস্তল ছাড়াও ২টি ম্যাগাজিন, ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। ডিএনসি বলছে, মাদকের চালান আসার খবরে রতনকে তল্লাশি করে অস্ত্র পাওয়া যায়। যেগুলো লোড করা অবস্থায় ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগে তাকে পাকড়াও করে ফেলায় অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে, পৃথক অভিযানে রাজধানী থেকে আরো ৩ মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএনসি। তারা হলেন- ফিরোজ হোসেন, শাহাদত হোসেন ও নাজমুল। ওই মাদকের চালানগুলো কক্সবাজার থেকে আনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
ডিএনসির ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্ল্যাহ কাজল ভোরের কাগজকে বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সংঘবদ্ধ মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে গতকাল বিভিন্ন বাস কাউন্টার এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানে ৪ জন মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে যাত্রাবাড়ীতে রতন নামে এক কারবারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমাদের কাছে খবর ছিল, সে কক্সবাজার থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে ফরিদপুরে যাচ্ছে। কিন্তু তাকে আটক করে ব্যাগ তল্লাশির সময় অবাক হতে হয়। মাদকের স্থলে দুটি লোড করা বিদেশি পিস্তল ছিল। অভিযানটিতে অংশ নেয়া ডিএনসির টিমের সদস্যরা দক্ষ না হলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারতো।
এক প্রশ্নের জবাবে জাফরুল্ল্যাহ কাজল বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রতন জানিয়েছেন, তিনি কক্সবাজারের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ও গুলি সংগ্রহ করে ফরিদপুরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। মূলত মাদক ব্যবসায় প্রভাব বিস্তার করতেই তিনি অস্ত্রগুলো কেনেন। তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কার কাছ থেকে কত টাকায় অস্ত্রগুলো কিনেছেন, সে বিষয়ে মুখ খোলেননি রতন। কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অস্ত্র দুটি বিক্রি করেছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরেও রতন ছিলেন চুপ।
তার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হবে। ওই মামলার তদন্ত থানা পুলিশই করবে। আশা করি, পুলিশের তদন্তে বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে।
অতিরিক্ত পরিচালক আরো বলেন, দারুস সালাম এলাকার হানিফ এন্টারপ্রাইজ কাউন্টারের সামনে থেকে ৮ হাজার পিস ইয়াবাসহ আন্তঃজেলা ইয়াবা পাচারকারী ফিরোজ হোসেন ও শাহাদত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর শ্যামলী এলাকার এ কে ট্রাভেলস কাউন্টারের সামনে থেকে ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ নাজমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধেও মাদক আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়