রাজউক : মুছে যাওয়া সাড়ে ২৬ হাজার নথি উদ্ধার

আগের সংবাদ

বাজারে ফের সিন্ডিকেটের থাবা! : কারসাজি করে বাড়ানো হচ্ছে দাম, নজরদারি জোরদারের তাগিদ বিশ্লেষকদের

পরের সংবাদ

সার্বিয়ায় স্কুলে গুলি : আট শিক্ষার্থীসহ নিহত ৯

প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সন্দেহভাজন হামলাকারী এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সপ্তম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী তার বাবার বন্দুক ব্যবহার করেছে বলে পুলিশের ধারণা। সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে একটি স্কুলে গুলির ঘটনায় ৮ শিক্ষার্থী ও এক নিরাপত্তা রক্ষী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। হামলায় আহত ৬ শিক্ষার্থী ও এক শিক্ষককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বিবৃতিতে বলেছে তারা।
গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় সকালের দিকে হওয়া এই হামলায় জড়িত সন্দেহে বেলগ্রেডের কেন্দ্রস্থলের ভøাদিস্লাভ রিবনিকার স্কুলের ১৪ বছর বয়সি এক শিক্ষার্থীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সন্দেহভাজন হামলাকারী ওই কিশোর তার বাবার বন্দুক ব্যবহার করে গুলি ছুড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেন এই ঘটনা, তার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের কিছুক্ষণ পরই বেলগ্রেডের কেন্দ্রস্থলের ভ্রাকার এলাকায় অবস্থিত ওই স্কুলের চারপাশ হেলমেপ ও বুলেটপ্রæফ পোশাক পরা পুলিশ কর্মকর্তারা ঘিরে ফেলেন।
‘তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে সব টহলদলকে পাঠায় এবং সন্দেহভাজন এক অপ্রাপ্তবয়স্ক, সপ্তম শ্রেণিতে পড়া এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে, ওই কিশোর তার বাবার বন্দুক ব্যবহার করে শিক্ষার্থী ও স্কুলের নিরাপত্তা রক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
‘পুলিশের সবগুলো বাহিনী এখনো ঘটনাস্থলে আছে, কেন এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তার কারণ বের করতে সব তথ্য ও পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে খতিয়ে দেখছে,’ বিবৃতিতে বলেছে সার্বিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে, মাথা জ্যাকেটে ঢেকে সন্দেহভাজন কিশোরকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের গ্রেপ্তারের ছবি প্রকাশ করেছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। গুলিবিদ্ধ ১৩ বছর বয়সি দুই কিশোর ও এক কিশোরীকে তিরোসোভার স্থানীয় একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
দুই কিশোরের অবস্থা স্থিতিশীল হলেও কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তার অপারেশন চলছে বলে জানিয়েছেন ক্লিনিকটির পরিচালক ড. সিনিসা দুচিক।
সার্বিয়ার রাষ্ট্রীয় স¤প্রচারমাধ্যম আরটিএসকে এক শিক্ষার্থী বলে, ‘আমি শিশুদের স্কুল থেকে দৌড়ে বের হয়ে চিৎকার করতে দেখেছি। অভিভাবকরা এসেছিলেন, তারাও ছিলেন আতঙ্কিত। পরে আমি তিনটি গুলির শব্দ শুনি।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়