নারী ইউএনওকে কাদের সিদ্দিকীর বাধায় আসকের নিন্দা

আগের সংবাদ

৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচন : আ.লীগের গলায় ‘কোন্দল’ কাঁটা

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : নগরের চকবাজার চন্দনপুরা মসজিদের সামনে এক ব্যক্তিকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- মো. জনি (৩৭), মো. শফিকুল ইসলাম (৩৬), আহম্মদ নূর (৩৩) ও মাকসুদুর রহমান ওরফে টিপু (৩৫)।
পুলিশ জানায়, গত ৬ মার্চ রিয়াজ নামে এক ব্যক্তি চকবাজার থানার চন্দনপুরা মসজিদের সামনে পৌঁছলে একটি প্রাইভেট সিএনজিযোগে চারজন লোক এসে তাকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে নেয় এবং তার কাছে থাকা নগদ ৫ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় গত ৮ মার্চ রিয়াজ চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। চকবাজার থানার ওসি মনজুর কাদের বলেন, মামলা দায়েরের পর সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে প্রাইভেট সিএনজিটি শনাক্ত করা হয়। সিএনজি চালক ফারুককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এদিকে ঘটনার মূলহোতা টিপুকে গ্রেপ্তারের জন্য চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। গত ১ এপ্রিল টিপুকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে একদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। পরে টিপুর দেয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে জনি, শফিকুল ইসলাম, আহমদ নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে কর্ণফুলি উপজেলা এলাকার এক যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ে জড়িত চক্রের মূলহোতাকে আটক করেছে র‌্যাব। সোমবার ভোরে ভুজপুরের রহমতপুর এলাকায় রাবার বাগানে অভিযান চালিয়ে অপহরণ চক্রের মূলহোতা মো. মামুনকে (৩৭) আটক করা হয়। আটক মো. মামুন মীরসরাই করেরহাটের আব্দুল ছোবহানের ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে র‌্যাব-৭’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
তিনি বলেন, অপহৃত নূর হাশেম জোরারগঞ্জ থানার অর্থনৈতিক অঞ্চলের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সে সুবাদে আসামি মো. মামুন ও মো. জসিমের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। গত ২৮ এপ্রিল দুপুরে জসিম তাকে ফোন করে করেরহাট এলাকায় যাওয়ার জন্য বলে। দেখা করতে ভিকটিম করেরহাট গেলে এক সিএনজি অটোরিকশার ড্রাইভার তাকে ভুজপুরের কৈলারছড়া এলাকায় জসিমের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে মামুন এবং অজ্ঞাত ৪-৫ জন মিলে ভিকটিমকে অপহরণ করে ভুজপুরের ভারতীয় সীমান্তবর্তী একটি অজ্ঞাত এলাকায় নিয়ে যায় এবং শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। অপহরণকারীরা ভিকটিমের পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং টাকা না দিলে ভিকটিমকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার র‌্যাব-৭ এ অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভুজপুরের রাবার বাগানে অভিযানে চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণের মূলহোতা মামুনকে আটক করা হয়। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়