বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ ঢাকা

আগের সংবাদ

দায়িত্ব নিলেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন

পরের সংবাদ

যুবককে হত্যার পর পাথরচাপা স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিলেট অফিস : সিলেটের জাফলংয়ে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী ও তার কথিত প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে স্ত্রীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন।
নিহত আলে ইমরান (৩২) কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার গুরই গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। গ্রেপ্তাররা হলেন- নারায়ণগঞ্জের নাদিম আহমেদ নাঈম (১৯), নিহত আলে ইমরানের স্ত্রী খুশনাহার (২১), কিশোরগঞ্জের রাকিব (২০) এবং খুশনাহারের কথিত প্রেমিক মাহিদুল হাসান মাহিন (২৪)।
পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সোমবার বিকালে গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং বল্লাঘাট রিভারভিউ রিসোর্টের পাশে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ পাথরচাপা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়; পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়।
তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অনুসন্ধান চালায় পুলিশ। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে নাদিম আহমেদ নাঈমকে নারায়ণগঞ্জ, খুশনাহারকে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা ও রাকিবকে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর ‘প্রেমিক’ মাহিদুল হাসান মাহিনকে গতকাল দুপুরে রংপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।
এসপি আরো বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আলে ইমরানের স্ত্রী খুশনাহারের সঙ্গে মাহিদুল হাসান মাহিনের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকেই খুশনাহার এবং মাহিন বিভিন্ন সময় ইমরানকে হত্যা করার চেষ্টা করে আসছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (১৫ এপ্রিল) হত্যার উদ্দেশ্যে খুশনাহার তার স্বামী ইমরানকে নিয়ে সিলেটে যান। অন্যদিকে মাহিন, নাদিম ও রাকিবও সিলেটে যান। রবিবার সকালে জাফলংয়ের ‘রিভারভিউ রিসোর্ট এন্ড আবাসিক হোটেলে’ ওঠেন ইমরান ও খুশনাহার। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী খুশনাহার কৌশলে তাদের রুমের সামনের সিসিটিভি ক্যামেরা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেন।
পুলিশ সুপার বলেন, রাতে খুশনাহার মাথাব্যথার ওষুধের কথা বলে ইমরানকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন। ইমরান ঘুমিয়ে গেলে মাহিন ও তার দুই সহযোগী হোটেলের ওই রুমে এসে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আলে ইমরানকে হত্যা করেন। পরে তারা ইমরানের মৃতদেহ হোটেলের পাশে পাথরচাপা দিয়ে রেখে পালিয়ে যান বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়