বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ ঢাকা

আগের সংবাদ

দায়িত্ব নিলেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন

পরের সংবাদ

আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের গবেষণা : চলতি বছর রেকর্ড তাপমাত্রার মুখোমুখি হতে পারে বিশ্ব

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রত্যাশিতভাবে এল নিনো ফিরে আসার কারণে ২০২৩ বা ২০২৪ সালে বিশ্বে গড় তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড হতে পারে। জলবায়ু মডেলগুলোর ধারণা অনুযায়ী, প্রশান্ত মহাসাগরে তিন বছর ধরে লা নিনা আবহাওয়া ধরন বিরাজ করার পর চলতি বছর পরের দিকে বিশ্বের এল নিনোতে ফিরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হবে। লা নিনা চলাকালে সাধারণত বৈশ্বিক তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পায় আর এর বিপরীতে এল নিনোর সময় তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এল নিনো চলাকালে নিরক্ষরেখা বরাবর পশ্চিমমুখি বায়ুপ্রবাহ ধীর হয়ে যায় এবং পানির উষ্ণ স্রোতগুলোর পূর্বমুখি প্রবণতা দেখা দেয়, এতে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের পরিচালক কার্লো বুনতেম্পো বলেছেন, ‘এল নিনো সাধারণত বৈশ্বিক পর্যায়ে রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত, তবে ২০২৩ না ২০২৪ এ এটি ঘটবে তা এখনো জানা যায়নি, কিন্তু আমি মনে করি এটি না ঘটার চেয়ে ঘটার সম্ভাবনাই বেশি।’
উত্তর গোলার্ধের গ্রীষ্মকালের শেষ দিকে এল নিনো পরিস্থিতি ফিরে আসতে পারে এবং বছরের শেষ দিকে এল নিনো শক্তিশালী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে বলে জলবায়ু মডেলগুলো থেকে ধারণা পাওয়া গেছে, জানিয়েছেন বুনতেম্পো। রেকর্ড অনুযায়ী, শেষ আট বছর ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম আটটি বছর। এটি গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমণের ফলে সৃষ্ট দীর্ঘমেয়াদি উষ্ণায়ণ প্রবণতার প্রতিফলন। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গ্রানথাম ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ফ্রেডেরিক অটো জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে সব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এল নিনোর মাধ্যমে বাড়তি উষ্ণতার কারণে সেখানকার পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।
এসব দেশে মারাত্মক তাপপ্রবাহ, খরা ও দাবানলের মতো দুর্যোগ দেখা দিতে পারে।
অটো বলেন, ‘মানুষ জীবাশ্ম জ¦ালানি পোড়ানো অব্যাহত রাখায় বিশ্ব আরো উষ্ণ হয়ে উঠছে বিবেচনায় এল নিনো শুরু হলে ২০২৩ এর ২০১৬ থেকেও বেশি উষ্ণ হয়ে উঠতে পারার ভালো সম্ভাবনা আছে।’
বিশ্বের শীর্ষ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমণকারী অধিকাংশ দেশ অবশেষে তাদের নিট নির্গমণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার অঙ্গীকার করলেও বিশ্বজুড়ে কার্বন ডাই-অক্সাইডের (সিওটু) নির্গমণ বেড়েই চলেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়