১০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ : হোমল্যান্ড লাইফের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

আগের সংবাদ

মনোনয়নে আ.লীগের গুরুত্ব তৃণমূল : চ্যালেঞ্জে শতাধিক এমপি, চাপের মুখে সাংগঠনিক সম্পাদকরা, জেলার পর উপজেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক

পরের সংবাদ

ভোক্তা অধিদপ্তর ডিজি : শপিংমলে অনিয়ম পেলেই কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কাপড়ের মান, দাম, বিক্রয়পরবর্তী সেবাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়ম হলে মার্কেট কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, বিদেশি পোশাক ও প্রসাধনীর গায়ে আমদানিকারকের নাম ও সিল থাকতে হবে। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) আমদানিকারকরা নির্ধারণ করবে। নকল পণ্যের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাক/কাপড় ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা জানান। এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আড়ং, আর্টিসান, অঞ্জনস, টপ টেন, লুবনান, নগরদোলা, রং বাংলাদেশসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্বত্বাধিকারীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ডিজি সফিকুজ্জামান বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে কিছু বিক্রয়কারী আমাদের দেশে বাসা ভাড়া নিয়ে টার্গেট কাস্টমারের কাছে বিদেশি কাপড় বিক্রয় করছে। এ ধরনের কার্যক্রম দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

এর আগে মনজুর শাহরিয়ার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাপড়ের গুণগত মান যেন ভালো থাকে এবং বিদেশি যারা আসেন তারা যেন কাপড়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারেন। কাপড়ের প্রাইজ ট্যাগ যেন ফ্যাক্টরিতে লাগানো হয়, শোরুমে প্রাইস ট্যাগ লাগানো যাবে না। তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে একই পোশাকের দাম অন্যান্য সময়ের তুলনায় বাড়িয়ে দেয়া, একটি পোশাকে বিভিন্ন দামের প্রাইস ট্যাগ লাগানো, সিট কাপড়ের ক্ষেত্রে মিটারের পরিবর্তে গজের ব্যবহার, মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা, নকল কাপড়কে আসল হিসেবে বিক্রি করা- এসব অনিয়ম আমরা আগেও মোবাইল কোর্টে দেখেছি।
এছাড়া রেডিমেড গার্মেন্টসের ক্ষেত্রে মোড়কের গায়ে এমআরপি না লেখা, লেখা থাকলে সেটা ঘষামাজা/কাটাকাটি করে বেশি মূল্য নির্ধারণ করা, পুরনো মূল্যের ওপর নতুন স্টিকার লাগিয়ে বেশি মূল্য নেয়া, কাটাফাটা পোশাক বিক্রি করা, ভোক্তাদের পেমেন্টের ক্ষেত্রে লম্বা লাইনে অপেক্ষমাণ না রাখা ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়