১০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ : হোমল্যান্ড লাইফের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

আগের সংবাদ

মনোনয়নে আ.লীগের গুরুত্ব তৃণমূল : চ্যালেঞ্জে শতাধিক এমপি, চাপের মুখে সাংগঠনিক সম্পাদকরা, জেলার পর উপজেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক

পরের সংবাদ

আমির হোসেন আমু : সংবিধান বিরোধিতাকারীরা জাতীয় শত্রæ

প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, দেশের সংবিধান নিয়ে যারা কথা বলে তারা জাতীয় শত্রæ। সংবিধান নিয়ে কথা বলার বিরুদ্ধে যে আইন রয়েছে সেই আইনে তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হয় না? যারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব দেশের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলে সেই আইনে কেন তাদের গ্রেপ্তার করা হয় না? কেন তাদের সেই আইনে শাস্তি দেয়া হয় না? এটি আজ আমাদের জিজ্ঞাসা। আইন যথাযথ প্রয়োগ করে জনগণের সামনে স্বাধীনতাবিরোধীদের শাস্তি দেয়ার দাবি জানান এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আমু বলেন, ১৪ দল স্বাধীনতার পক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে এবং বঙ্গবন্ধু রচিত সংবিধানের পক্ষে কাজ করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবিচলভাবে জাতীয় চার মূলনীতির ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যাব। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর কে ক্ষমতায় এলো? খন্দকার মোশতাক। আওয়ামী লীগ নেতা, অর্থাৎ একটা ধারণা দেয়া হলো আওয়ামী লীগপন্থিরাই ক্ষমতায় আছে। তার আড়াই মাস পর ক্ষমতায় এলো জিয়াউর রহমান। পরিচয় কী? মুক্তিযোদ্ধা। কর্মকাণ্ড কী? কর্মকাণ্ড হচ্ছে অমুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল্যবোধকে হত্যা করে এই দেশে পাকিস্তানি রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা। সেই লক্ষ্যে সেদিন ১৫ আগস্ট সংঘটিত করে এদের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। বিএনপির নির্বাচনে আসতে ভয় মন্তব্য করে আমু বলেন, সরকারে ছিল কে? ফখরুদ্দীনের পরিচয় ছিল কী? জিয়াউর রহমান কর্তৃক নিয়োজিত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিল কে? জেনারেল মতিন। পরিচয় কী? খালেদা জিয়ার সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান। মইনুদ্দীন কে? ছয়জনকে বাদ দিয়ে খালেদা জিয়া যাকে সেনাবাহিনী প্রধান করেছিলেন। সেদিন যে লোকগুলোকে নিয়ে সরকার গঠন করা হয়েছে তারা ছিল বিএনপিপন্থি।
তিনি বলেন, ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীন সরকার যখন এলো তারা খালেদা জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেনি। প্রথমে গ্রেপ্তার করা হলো শেখ হাসিনাকে। তিনি ছিলেন বিরোধী দলের নেতা। তারপর আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ে তারা বুঝে গেছে বিএনপি জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত। এরপর থেকেই তাদের নির্বাচনে এত ভয়। আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, আ.লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, গণআজাদী লীগের সভাপতি এডভোকেট এস কে সিকদার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়