১০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ : হোমল্যান্ড লাইফের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

আগের সংবাদ

মনোনয়নে আ.লীগের গুরুত্ব তৃণমূল : চ্যালেঞ্জে শতাধিক এমপি, চাপের মুখে সাংগঠনিক সম্পাদকরা, জেলার পর উপজেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক

পরের সংবাদ

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক : জেসমিনের ঘটনায় ডিজিটাল আইনের অপব্যবহার হয়েছে

প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : র?্যাবের হেফাজতে মারা যাওয়া সুলতানা জেসমিনের (৪৫) ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, নওগাঁয় ওই নারীকে যখন তুলে নেয়া হয়, তখন কিন্তু তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ছিল না। যখন মারা যান, তখনো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ছিল না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে তার পরের দিন। এখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করা হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে ওই নারীকে ধরা হয়নি বলেও জানান আইনমন্ত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাক্ষাৎ করতে আসেন। দুই মন্ত্রীর বৈঠকের পর আইন মন্ত্রণালয়ের বারান্দায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা জানান। আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, দুয়েকটা ঘটনায় অপব্যবহার হচ্ছে, ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। যেখানেই অপব্যবহার হচ্ছে, সেখানেই অব্যবহার বন্ধের জন্য যে ব্যবস্থা নেয়ার, সেটি নেয়া হচ্ছে।
গত ২৬ মার্চ প্রথম আলোর যে প্রতিবেদনটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তার প্রতিবেদক ছিলেন শামসুজ্জামান শামস। পরে তাকে সাভারের নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সাভারে কর্মরত দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে বা হচ্ছে সেটা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আমি স্বীকার করি আপনারা নির্ভীক সাংবাদিক। আপনারা যদি জনগণকে সত্য তথ্য প্রকাশ করেন তাহলে কোনো মতেই এই সরকার সাংবাদিকদের বাধা দেবে না।
গত বুধবার রাতে প্রথম আলোর রিপোর্টারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা হয়েছে। অথচ এই আইনে মামলা হলে প্রথমে সেলে পাঠানো হবে। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলায় যখন তথ্য দেয়া হবে তখন যদি ‘প্রাইমাফেসি কেস’ না থাকে তখন প্রাইমাফেসি কেস নির্ধারণের জন্য আগে সেলে পাঠানো হবে এবং সেলের পরীক্ষার পর মামলা নেয়া হবে। কিন্তু গতকাল (বুধবার) ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যে মামলাটি করা হয়েছে তার যে বিবরণী সেটা যদি দেখে থাকেন তাহলে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যে মামলা হয় সেটার তথ্য উপাত্ত কিন্তু সেখানে ছিল।
সেক্ষেত্রে পরীক্ষার জন্য পাঠানোর প্রয়োজন পড়ে না বলে এই মামলা নেয়া হয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট কোথায় অপব্যবহার হচ্ছে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, দুই একটা মামলায় হচ্ছে। সে সব বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়