বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের : গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বিএনপির কারণেই বারবার হোঁচট খায়

আগের সংবাদ

আত্রাই উপজেলা মিলনায়তনের পাশে জলাবদ্ধতা

পরের সংবাদ

গ্রেপ্তার ১ জন : মন্ত্রীর পিএ পরিচয়ে প্রতারণা অর্থ আত্মসাৎ

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীর (পিএ) ছবি দিয়ে ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে নগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। সোমবার রাতে নগরীর পাঁচলাইশ থানার রহমান নগর আবাসিক এলাকা থেকে বাস পঞ্চঞ্চা শাকিব (৩০) নামে ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়। বাস পঞ্চঞ্চা শাকিব বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানার চাকপাড়ার ধুংছো অং চাকের ছেলে। সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুলশী থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ‘চট্টগ্রামের চাকরি-বাকরি’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে অজ্ঞাত একটি ফেসবুক আইডি থেকে বাংলাদেশ এয়ারলাইনস শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘শিডিউলিং অ্যাসিস্ট্যান্ট’ হিসেবে চাকরির বিজ্ঞাপন দেয়। বিজ্ঞাপন দেখে ভুক্তভোগী ফেসবুক আইডির ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করলে বাস পঞ্চঞ্চা শাকিব নিজেকে একজন মন্ত্রীর পিএ হিসেবে পরিচয় দেন। চাকরি দেয়ার বিনিময়ে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন। পিএ পরিচয় দেয়া অভিযুক্ত ব্যক্তি চাকরির নিশ্চয়তা দিলে ভুক্তভোগী ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন। বাকি ৪০ হাজার টাকা প্রতি মাসে প্রাপ্ত বেতন থেকে কর্তন হবে মর্মে জানিয়ে তার বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেন। অভিযুক্ত বাস পঞ্চঞ্চা শাকিবকে টাকা দেয়ার পরে ভুক্তভোগীর ম্যাসেঞ্জারে এবং মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী মন্ত্রীর প্রকৃত পিএর সঙ্গে যোগাযোগ করে বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন।
সিএমপির কাউন্টার টেররিজম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আসিফ মহিউদ্দীন জানান, শাকিব নিজেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পিএ হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়েছিলেন।

ভুক্তভোগী যুবক মন্ত্রীর প্রকৃত পিএ’র সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রতারণার বিষয়টি পরিষ্কার হয়। মন্ত্রীর পিএ ঢাকায় সিআইডির সাইবার ক্রাইম ইউনিটে এ বিষয়ে অভিযোগ দেন। গত ১৫ মার্চ সিএমপির কাউন্টার টেররিজম বিভাগে গিয়ে ভুক্তভোগী যুবক এ বিষয়ে অভিযোগ দেন। এরপর শাকিবের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মন্ত্রীর পিএ পরিচয়ে প্রতারণা করে চাকরির প্রলোভনে অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, মাস্টার্স পাস শাকিব বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। করোনা মহামারির সময় তার চাকরি চলে যায়। গত দুই বছর ধরে বেকার থেকে মাস তিনেক আগে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আসল পিএ যিনি, ফেসবুকে তার আইডিতে ঢুকে ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করে তার নামে একটি ভুয়া আইডি তৈরি করেন। এরপর চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা শুরু করেন। গ্রেপ্তার শাকিবের কাছ থেকে জব্দ দুটি মোবাইল ফোনে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ মিলেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়