বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের : গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বিএনপির কারণেই বারবার হোঁচট খায়

আগের সংবাদ

আত্রাই উপজেলা মিলনায়তনের পাশে জলাবদ্ধতা

পরের সংবাদ

আখাউড়ায় শিক্ষা কর্মকর্তাকে শোকজ : শুদ্ধভাবে জাতীয় সংগীত গাইতে না পারা শিক্ষকের বেতন স্থগিত

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জুটন বনিক, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে : শুদ্ধ এবং সঠিকভাবে জাতীয় সংগীত গাইতে না পারায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক শরীরচর্চা শিক্ষকের বেতন স্থগিত ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে শোকজ করার নিদের্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দুপুরের দিকে মো. শাহগীর আলম মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি হঠাৎ বিদ্যালয়ের মাঠে প্রবেশ করেন। বিদ্যালয়ের মাঠে গোচারণ দেখে কিছুটা অন্তোষ প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে তিনি শরীরচর্চা শিক্ষক সোহরাব হোসেনকে কাছে ডেকে এনে নাম পরিচয় জানতে চান। নাম পরিচয় দেয়ার পর জেলা প্রশাসক জাতীয় সংগীত শুদ্ধভাবে গাইতে বলেন। কিন্তু তিনি জাতীয় সংগীত শুদ্ধভাবে গাইতে পারছিলেন না। পরে জেলা প্রশাসক কারণ জানতে চান কেন তিনি শুদ্ধভাবে জাতীয় সংগীত গাইতে পারছেন না। এদিকে জেলা প্রশাসকের পরিদর্শনকালে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেনও ছিলেন অনুপস্থিত।
এ ব্যাপারে শরীর চর্চা শিক্ষক সোহরাব হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসক স্যার হঠাৎ করে মাঠে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি বিদ্যালয়ের মাঠে গোচারণ দেখে কিছুটা অন্তোষ প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে আমাকে ডেকে আনেন ও আমার নাম পরিচয় জানতে চান। নাম পরিচয় দেয়ার পর স্যার আমাকে জাতীয় সংগীত শুদ্ধভাবে গাইতে বলেন। কিন্তু আমি হতভম্ব হয়ে যাই। যার কারণে সঠিকভাবে জাতীয় সংগীতটি গাইতে পারছিলাম না। তাই স্যার আমার কাছে কারণ জানতে চেয়েছেন কেন শুদ্ধ এবং সঠিকভাবে জাতীয় সংগীত গাইতে পারেনি। এদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল হোসেন জানান, জেলা প্রশাসক স্যারের পরিদর্শনে আসবেন এ বিষয়টি কেউ আমাকে আগে থেকে অবগত করেননি। জেলা প্রশাসক মহোদয় আসবেন জানলে অবশ্যই আমি বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা বলেন, স্যার বিদ্যালয়ে গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এ সময় বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষককে শুদ্ধভাবে জাতীয় সংগীত গাইতে বলেন। না পারায় তার বেতন স্থাগিত রাখার নিদের্শ দেন। পাশাপাশি পরিদর্শনকালে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অনুপস্থিত থাকায় তাকে কারণ দর্শানোর নিদের্শ দিতে বলেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কি শিখছে। তারা আদৌ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে কিনা সে বিষয়টি জানার জন্যেই আমি বিদ্যালয়টিতে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এ সময় বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক সোহরাব হোসেনকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনিতো শিক্ষার্থীদের শরীরচর্চা করান ও অ্যাসেম্বলির সময় জাতীয় সংগীতও গাইতে সহযোগিতা করেন। আপনি কি জাতীয় সংগীতের কয়েক লাইন গেয়ে শুনাবেন? কিন্তু তিনি শুদ্ধ ও সঠিকভাবে জাতীয় সংগীত গাইতে পারেনি। তখন আমি তাকে প্রশ্ন করলাম আপনি নিজেই সঠিকভাবে জাতীয় সংগীত গাইতে পারলেন না শিক্ষার্থীদের কি শিখাবেন?। এ বিষয়টি তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিদ্যালয় পরিদর্শনের বিষয়টি আগেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারও নিশ্চই অবগত ছিলেন। বিদ্যালয় পরিদর্শন কালে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। তাই তার অনুপস্থিত থাকার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়