বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘সবুজ মানব প্রাচীর’ তৈরি করল জিএলটিএস

আগের সংবাদ

ভোটের হাওয়ায় জোটের মিশন

পরের সংবাদ

২০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব : সরিষাবাড়ীতে ২৫ বছর পর ব্রিজ নির্মাণ

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোস্তাক আহমেদ মনির, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) থেকে : জামালপুরের সরিষাবাড়ী ও সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার প্রায় ২০ গ্রামের মানুষকে যাতায়াত করতে হয় জিয়া খালের ওপর দিয়ে। ওই খালে উপর ২৫ বছর আগে বিএনপির করা পিলারের ওপর ব্রিজ নির্মাণ করছেন আ.লীগের ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক। এতে ২৫ বছরের যাতায়াতে দুর্ভোগের শেষ হলো। দ্রুত এটি পুনর্নির্মাণ করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, পোগলদিঘা ইউনিয়নের টাকুরিয়ায় জিয়া খালের ওপর এ ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হয় নব্বই দশকে। খুবই উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আশপাশের ২০ গ্রামবাসীর চলাচলের দুর্দশা ঘোচাতে এ ব্রিজের কাজ শুরু হয়। কিন্তু কোনো অজানা কারণে পিলার স্থাপনের পরপরই হাফ ডাউন অবস্থায় বন্ধ হয়ে যায় এ ব্রিজের নির্মাণকাজ। পেয়ারক্যাপ পর্যন্ত কাজ হলেও বাকি কাজ শেষ হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে এই ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় দুই উপজেলার ২০ গ্রামের বসবাসরত মানুষ ফসল আনানেয়া, স্কুল-কলেজ, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চলাচলের জন্য চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে। এতে করে সরিষাবাড়ী উপজেলার টাকুরিয়া, মালিপাড়া, ব্রাহ্মণজানি, মানিক পটোল, বিন্নাফৈর, চর সরিষাবাড়ী, কাজিপুর উপজেলার মনসুরনগর, শালগ্রাম, মাজনাবাড়ীসহ ২০টি গ্রামের হাজারো মানুষ সরিষাবাড়ী শহরে বিভিন্ন প্রয়োজনে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। শুকনো মৌসুমে পায়ে হেঁটে খালটি পার হলেও দুর্ভোগে পড়তে হয় বন্যায়। কখনো নৌকা আবার কখনো বাঁশের সাকোই ছিল একমাত্র ভরসা। বর্ষা মৌসুমে পানি বৃদ্ধি পেলে এই জনপদের মানুষের প্রায় ৬-৭ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হতো। এতে বাড়তি সময়ের পাশাপাশি পোহাতে হতো চরম দুর্ভোগ। তবে বর্তমানে ঐ সব পিলারের ওপর লোহা ও কাঠ দিয়ে ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় পোগলদিঘা ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মানিক।
পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আশরাফুল আলম মানিক বলেন, এলাকাবাসীর মাধ্যমে বিষয়টি আমি জানতে পারি। দুই উপজেলার প্রায় ২০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহযোগিতায় আপাতত চলাচলের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে লোহার অ্যাঙ্গেল ও কাঠ দিয়ে ব্রিজ তৈরি করে দিয়েছি। পাশাপাশি উপজেলা এলজিইডির কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে কীভাবে এখানে পূর্ণাঙ্গ ব্রিজ নির্মাণ করা যায় তার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়