বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘সবুজ মানব প্রাচীর’ তৈরি করল জিএলটিএস

আগের সংবাদ

ভোটের হাওয়ায় জোটের মিশন

পরের সংবাদ

শান্তিগঞ্জে গুলিবর্ষণ : মামলার ৫ দিন পরও কেউ ধরা পড়েনি

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার উপ্তিরপার গ্রামে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়েরের ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো অধরা আসামিরা। এখন পর্যন্ত একজনকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গুলিবর্ষণের ঘটনায় গত ২৩ মার্চ শান্তিগঞ্জ থানায় ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে উপ্তিরপার গ্রামের হযরত আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৮। মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামিরা পলাতক রয়েছেন। অদ্যাবধি মামলার একজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ মার্চ বাদী হযরত আলীর ভাতিজা নাসির মিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। তার দাফনে অংশগ্রহণ করতে হযরত আলীসহ আত্মীয়স্বজনরা বাড়িতে গেলে প্রতিপক্ষ সাইফুল গং বাধা সৃষ্টি করে। এসময় এলাকার লোকজন বিষয়টি মীমাংসা করার স্বার্থে দুপক্ষের লোকজনকে শান্তি বজায় রেখে চলার জন্য অনুরোধ করেন এবং ১৬ মার্চ সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করার জন্য বলেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ সাইফুল ও জমসেদ গং এলাকার পঞ্চায়েতদের কথা অমান্য করে গত ১৬ মার্চ সকালে সালিশ না বসে শতাধিক লোকজন নিয়ে বন্দুক ও দেশীয় অস্ত্র রামদা, সুলফি, লাঠিসোটা নিয়ে গুলিবর্ষণের মাধ্যমে হযরত আলীর বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা হযরত আলী গংদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লোকজনের ওপর হামলা করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ১৮ জনকে রক্তাক্ত জখম করে। হামলাকারীরা বাড়ির মহিলা ও শিশুদের জিম্মি করে হত্যার পরিকল্পনা করে। এসময় মহিলা ও শিশুদের চিৎকার ও গুলিবর্ষণের শব্দ শুনে মসজিদের ইমাম মাইকে ঘোষণা করে এলাকার লোকজনদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে গুরুতর রক্ষাক্ত আহতদের উদ্ধার করে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়