বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘সবুজ মানব প্রাচীর’ তৈরি করল জিএলটিএস

আগের সংবাদ

ভোটের হাওয়ায় জোটের মিশন

পরের সংবাদ

বিমানে পাইলট নিয়োগে অনিয়ম তদন্তের দাবিতে লিগ্যাল নোটিস

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পাইলট নিয়োগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আন্তর্জাতিক ও নিজস্ব নিয়মনীতির লঙ্ঘন করেছে- এমন অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন কমিটি গঠন করতে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এই নোটিস পাঠানো হয়েছে। গতকাল সোমবার জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিস পাঠান। নোটিস পাওয়ার দুদিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। লিগ্যাল নোটিস পাঠানোর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
নোটিসে বলা হয়, পাইলটদের সংগঠন বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট এসোসিয়েশন (বাপা) নিয়োগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আন্তর্জাতিক ও নিজস্ব নিয়মনীতির চরম লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে। পাইলট হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে বিমানের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যকে। বিমানের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে এই নিয়োগের তদন্ত চায় বাপা। বিষয়টি তদন্তের দাবি করে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বরাবর একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছে বাপার নির্বাহী কমিটি। একইভাবে এর প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে বিমানের প্রশাসন ও ফ্লাইট অপারেশন বিভাগের পরিচালকদের কাছে। পাইলট নিয়োগে অনিয়ম তুলে ধরে ওই চিঠিতে বলা হয়েছে- বিভিন্ন পত্রিকায় বিমানের পাইলট নিয়োগের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে। বাপার পর্যবেক্ষণেও দেখা গেছে- নিয়ম ভেঙে পাইলট নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া নিয়োগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিমানের ট্রেনিং বিভাগের প্রধানকে। যার নিজের স্ত্রী পাইলট হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এটি নিয়মের চরম লঙ্ঘন।
চিঠিতে বলা হয়, বিমানের চরম গাফিলতির কারণে বোয়িং-৭৮৭ ফ্লাইটের ক্রুদের বিদেশে গিয়ে জেডএফটিটি এবং পিপিসি নামের দুটি ট্রেনিং রিটেক করতে হচ্ছে- যা বিমানের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপচয়ের অন্যতম কারণ। বোয়িং-৭৭৭ এর জুনিয়র পাইলটকে পাইলটদের প্রশিক্ষক বানানো হয়েছে- যা অনৈতিক। এটি সিনিয়র পাইলটদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। অনিয়মের কারণে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছ থেকে বিমান বাংলাদেশ সতর্কতা চিঠি (ওয়ার্নিং লেটার) পেয়েছে। এটি একটি এয়ারলাইন্সের জন্য বিব্রতকর বিষয়। বিমানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মেয়েকে পাইলট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

ট্রেনিংয়ের সময় ওই নারী পাইলটের সাধারণ জ্ঞান কম থাকায় তাকে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ট্রেনিং সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে ওই পাইলটের পক্ষে বোয়িং-৭৭৭ এর ট্রেনিং নেয়াও কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়