বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘সবুজ মানব প্রাচীর’ তৈরি করল জিএলটিএস

আগের সংবাদ

ভোটের হাওয়ায় জোটের মিশন

পরের সংবাদ

পেস আক্রমণে নতুন তারকা হাসান মাহমুদ

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল মূলত স্পিনার এবং টপঅর্ডার ব্যাটারদের ওপর নির্ভরশীল একটি দল। স্পিনার এবং ব্যাটারদের ভালো পারফরম্যান্স মানেই টাইগারদের বিজয় এবং তাদের অফফর্ম মানেই পরাজয়। এমন দৃশ্যপটই দেখা যেত অন্যান্য দেশগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলায়। তবে দিনে দিনে এর পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। স্পিন উইকেটেও ভালো পারফরম্যান্স করছেন টাইগার শিবিরের পেসাররা। প্রতিপক্ষকে রান রেটের চাপে ফেলার সঙ্গে তারা ধারাবাহিকভাবে সাজঘরমুখী করছেন ব্যাটারদের। টাইগারদের পেসার শিবিরে বর্তমান পরিস্থিতিতে উদীয়মান তারকা হাসান মাহমুদ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে এই পেসারের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট হবেন না এমন ক্রিকেটপ্রেমী কমই আছেন।
হোম অব ক্রিকেট মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় হাসান মাহমুদের। হাসান মাহমুদ বাংলাদেশ ক্রিকেটে

প্রবেশ করার আগেই পেসারদের উন্নতি শুরু হয়। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান কাটার মাস্টার খ্যাত মোস্তাফিজুর রহমান। অভিষেকে ৫ উইকেট নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছিলেন তিনি। এর পরবর্তী সময় থেকে বাংলাদেশ দলে পেসাররা একটি ভরসার জায়গা তৈরি করে নেয়। বাংলাদেশ দলে পেসারদের বিপ্লবের পর আবির্ভাব ঘটে হাসান মাহমুদের। অভিষেকের ম্যাচে এই পেসার ২৮ রান খরচে ৩ জন ব্যাটারকে পিচ থেকে বিদায় করেন। অভিষেকের ম্যাচ হিসেবে তার পারফরম্যান্স ভালোর তালিকাতেই স্থান পায়। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই ছন্দপতন হয় এই পেসারের। একদিকে মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদের মতো পেসাররা যখন প্রতিপক্ষের রান থামিয়ে রেখে উইকেট তুলছিলেন তখন হাসান মাহমুদ রানের পর রান খরচ করে উইকেট খরায় ভোগতে থাকেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনি ৫৪ রান খরচ করে মাত্র ১ উইকেট শিকার করেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ম্যাচেও দেখা যায় একই চিত্র। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ৪৯ রান খরচে একটি উইকেট তুলেন। এই ম্যাচের পর তিনি দীর্ঘদিন জাতীয় দলের স্কোয়াডের বাইরে ছিলেন। পুনরায় তাকে ওয়ানডে দলে জায়গা দেয়া হয় ২০২২ সালের ৭ আগস্ট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এর মধ্যে আলো হারাতে থাকে বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণ। জাতীয় দলে ফেরার পরও তিনি প্রতিপক্ষকে রানের চাপে ফেলতে ব্যর্থ হন। তবে উইকেট শিকারে মোটামুটি উন্নতি আসে সেই ম্যাচে। তিনি ম্যাচটিতে ৪৭ রান খরচে ২ উইকেট তুলতে সক্ষম হন। পরবর্তী ম্যাচেও দেখা যায় আগের ব্যর্থ হাসানকেই। ভারতের বিপক্ষে গত বছরের শেষ সিরিজে তিনি ৪০ রান খরচে একটি উইকেটও তুলতে পারেননি। চলতি বছরের প্রথম দিকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নবম আসরে দেখা যায় নতুন এক হাসান মাহমুদকে। নিজেকে প্রস্তুত করেই মাঠে নামেন তিনি। একদিকে প্রতিপক্ষের রান আটকে রাখছিলেন, তুলছিলেন উইকেটও।
নতুন বছরে হাসান মাহমুদ বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের হয়ে প্রথম বল ধরেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে। ম্যাচটিতে সর্বোচ্চ সফল ছিল বাংলাদেশের পেসাররা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামেন আইরিশ ব্যাটাররা।

:: শাহাদাত হোসেন কিফাত

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়