বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘সবুজ মানব প্রাচীর’ তৈরি করল জিএলটিএস

আগের সংবাদ

ভোটের হাওয়ায় জোটের মিশন

পরের সংবাদ

অপসারণ চেয়ে পোস্টারিং : উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি : শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার অপসারণ চেয়ে এলাকায় পোস্টারিং করা হয়েছে। উপজেলা সদরের বিভিন্ন রাস্তার ওয়ালে সাটানো দেখতে পাওয়া যায় এসব পোস্টার। পোস্টারে লেখা, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এই অস্বচ্ছ ঘুষখোর জামায়াত-বিএনপির দোসর দুর্নীতিবাজ উপজেলা প্রকৌশলী সিহাদুল ইসলামের অতিসত্বর অপসারণ চাই।’
পোস্টোরে শিবগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণ ও ঠিকাদারদের সৌজন্যে লেখা হলেও এসব পোস্টার কে সাটিয়েছে সে ব্যাপারে কিছু জানা যায় নি। এদিকে পোস্টারের বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা প্রকৌশলী তার অফিসের লোক দিয়ে সব পোস্টার ছিড়ে ফেলেন।
উপজেলা প্রকৌশলী সিহাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে প্রকল্পের টাকা নয়-ছয়, নিয়ম বহির্ভূতভাবে পত্রিকায় টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি, উৎকোচের মাধ্যমে ঠিকাদারকে বিধিবহির্ভূতভাবে কাজ প্রদানসহ একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এরপরও অজ্ঞাত খুঁটির জোরে তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন। কারণ দর্শানোর নোটিস ছাড়া কার্যকর কোনো পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত নেয়নি স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর। এর আগে এ প্রকৌশলীর বদলির কথা শোনা গেলেও ঐ আদেশ আবার বাতিল করা হয় বলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন। কারণ দর্শানোর নোটিসে প্রাথমিক তদন্তে বগুড়া এলজিইডির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন মর্মে উল্লেখ করা হয়।
প্রধান প্রকৌশলী স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিসে বলা হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডার আহ্বানের সময় ২১ দিন হলেও টেন্ডার আইডি নম্বর ৭৩৩৩৫৩, ৭৩৩৩৫৪ ও ৭৩৩৩৬৩ এর তিনটি দরপত্রের দুটি যথাক্রমে ১৮ ও ১৩ দিন সময় বেঁধে দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। পরে ভুলের কারণে দুটি আইডির সংশোধিত দরপত্র পুনরায় আহ্বান করা হলেও অপর আইডির দরপত্র অজানা কারণে সর্বনি¤œ দরদাতাকে দেয়া হয়। কোনোরূপ নিয়মনীতি না মেনেই এমন কাজ করায় উপজেলা প্রকৌশলী সিহাদুল ইসলামকে এর ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিস করা হয়েছে। শিবগঞ্জ উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক শাহাবুদ্দিন শিবলী জানান, গত একবছর আগে শিল্পকলা একাডেমির সরঞ্জাম কেনার সাড়ে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও উপজেলা প্রকৌশলী মাত্র ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে একই কাজ দু-তিনটা টেন্ডারে দিয়ে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, কিছু পছন্দনীয় ঠিকাদারকে কৌশলে কাজ পাইয়ে দেয়া, ঠিকাদারের ভাড়া গাড়িতে প্রকল্প পরিদর্শন, অফিসে ঠিকমতো না আসাসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন।এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে প্রকৌশলী মো. সিহাদুল ইসলামকে বারবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়