প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা : রাখী দাশ পুরকায়স্থ ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক

আগের সংবাদ

বধ্যভূমি দেখার দায়িত্ব কার : সারাদেশে ৫ হাজারের বেশি বধ্যভূমি, ২২ বছরে ২০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ হয়েছে

পরের সংবাদ

এনবিআরের তথ্য : আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছে ১৩.৭৩ শতাংশ কোম্পানি

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : গত ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ১৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ কোম্পানি আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রিটার্ন দাখিলের জন্য আরো সময় চেয়ে এনবিআরে আবেদন করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এনবিআরের তথ্য মতে, দেশে ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৩৫ জন করপোরেট টিআইএনধারীর মধ্যে ২২ হাজার ৯৪৮ জন রিটার্ন জমা দিয়েছেন। আর তাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) করপোরেট আয়কর বাবদ পেয়েছে ২ হাজার ৩৭৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মসের কার্যালয়ের তথ্য মতে, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৮০ হাজার পাবলিক এন্ড প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি নিবন্ধন পেয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান করদাতা শনাক্তকরণ (টিআইএন) নম্বর ছাড়াই দেশে ব্যবসা করছে।
এনবিআর সূত্র জানিয়েছে- গত ১৫ জানুয়ারির মধ্যে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেনি। এ বছর এনবিআর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ায়নি, তবে করদাতাদের কাছ থেকে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন পাওয়া যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, করপোরেট ট্যাক্স রিটার্ন পরিশোধের নিয়ম নিয়ে কর কর্মকর্তাদের আরো উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। মোট প্রত্যক্ষ করের প্রায় ১৭ শতাংশ আসে করপোরেট করদাতাদের কাছ থেকে। করপোরেট ট্যাক্স রিটার্ন কমপ্লায়েন্স দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে উদ্বেগজনক।
করপোরেট কোম্পানিগুলো কেন সময়মতো রিটার্ন দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছে, তা নিয়ে এনবিআরের গবেষণা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, রাজস্ব বোর্ডকে এগুলো মেনে চলার জন্য বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করতে হবে। রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া অটোমেশন এবং নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোর ফলোআপের পাশাপাশি করপোরেট ট্যাক্স কমপ্লায়েন্সের উচ্চ ব্যয় কমানো জরুরি।
এদিকে কোম্পানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করপোরেট করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের প্রক্রিয়া আরো সহজ করতে ডিজিটাল ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়ার ব্যবস্থা চালু করা দরকার। বর্তমানে করপোরেট করদাতাদের এক বছরের মধ্যে ২৬ ধরনের নথি জমা দিতে হয়। যা অনেক জটিল এবং সময়সাপেক্ষ।
বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ২০ শতাংশ, তালিকাবহির্ভূত কোম্পানি ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, তালিকাবহির্ভূত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৪০ শতাংশ, মার্চেন্ট ব্যাংক ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, সিগারেট কোম্পানি ৪৫ শতাংশ, মোবাইল অপারেটর কোম্পানির যথাক্রমে ৪০ শতাংশ ও ৪৫ শতাংশ করপোরেট কর বিদ্যমান আছে।
রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রায় ২৭ হাজার ২৮৬টি, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রায় ২৭ হাজার ৬৮০টি, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় ২৫ হাজার ২৫০টি, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ২৯ হাজার ৭৮৫টি এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ৩০ হাজার ১০০টি কোম্পানি আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়