মানবতাবিরোধী অপরাধ : দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে চারজনের আপিল

আগের সংবাদ

ঝিকরগাছা : বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল পরিদর্শন করলেন উপসচিব

পরের সংবাদ

মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শাহরিয়ার

প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, প্রতিবেদনটি তৈরির আগে আমাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়ার কথা থাকলেও তারা সেটি করেননি। গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০২২ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্রাকটিসেস : বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওই মার্কিন প্রতিবেদনে ওপেন সোর্স থেকে এসব ইনফরমেশন নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘অধিকার’। এই সংস্থাটির অতীতে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল। যেসব সংগঠন অনিবন্ধিত সেসব সংস্থার তথ্য ব্যবহার না করতে বলা হবে। সামনে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় এ প্রতিবেদনটির ত্রæটি তুলে ধরা হবে। তিনি বলেন, প্রতিবেদনে ঢালাওভাবে মন্তব্য করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত। তবে বাংলাদেশ সংসদীয় গণতন্ত্র দ্বারা চলে। এখানে প্রেসিডেন্সিকে পাওয়ার দেয়া হয়েছে। তবে প্রতিবেদনে সেই ব্যবস্থাকে আন্ডারমাইন করার প্রবণতা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রতিবেদনে গুমের সংখ্যায়ও ভুল রয়েছে। গত ২০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এই মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ অবশ্যই একটি সংসদীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আমাদের যাত্রাপথ যে কত কণ্টকাকীর্ণ ছিল বা এখনো আছে সেটি যে কোনো রাষ্ট্র বোঝেন বা জানেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রীর যতটুকু ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন ততটুকুই আছে। এটির ডিগ্রি অব অ্যাপ্লিকেশন বা অন্য কিছু নিয়ে একটি বন্ধু রাষ্ট্রের সংশয় প্রকাশ কিংবা প্রশ্ন তোলার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। এটি বলতে গেলে আরো অনেক কিছু বলতে হবে যেটি অস্বস্তিকর হয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী সংক্রান্ত মন্তব্য দুঃখজনক কিনা এবং এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে কিছু জানাবেন কিনা জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, অবশ্যই, অবশ্যই বলব। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, একটি রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারে তার নির্দেশে অনেক কিছু হতে পারে। এটি সংবিধানের অংশ এবং এভাবেই তাদের সরকার পরিচালিত হয়। তাহলে কি আমরা বলব যে ওই দেশে প্রেসিডেন্টই একমাত্র ক্ষমতাধর ব্যক্তি। কিন্তু বিষয়টি সেরকম নয়। আমাদের দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রে কীভাবে আইন প্রণয়ন হয় সেটি আপনারা দেখেছেন এবং দেখছেন। সেখানে ঢালাওভাবে একটি পদকে, সাংবিধানিক দপ্তরকে খাটো করার প্রবণতা আমরা দেখেছি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে তিনি জানান। ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই প্রতিবেদনের কিছু ভুল পেয়েছে। শাহরিয়ার আলম বলেন, গুমের সংখ্যা এখানে ৮১ উল্লেখ করা হয়েছে। আপনারা জানেন এ সংখ্যা হবে ৭৬। এক্ষেত্রে ৭৬ এর বিষয়ে খুব অস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে বাংলাদেশ ১০ জনকে চিহ্নিত করার দাবি করেছে। বিষয়টি এমনভাবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে এর কোনো সুরাহা হয়নি। কিন্তু এখানে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই জাতিসংঘ ওই ১০ জনের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার পর তারা নিজেরাই যাচাই-বাছাই করেছে এবং ইতোমধ্যে ওই ৭৬ এর তালিকা থেকে ১০ জনকে বাদ দেয়া হয়েছে। কাজেই বিষয়টি এমন নয় যে বাংলাদেশ ওই বিষয়টি নিয়ে দাবি করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়