ছিনতাইকারী থেকে দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান

আগের সংবাদ

বিশুদ্ধ পানি ছাড়াই স্বাস্থ্যসেবা! : উপকূলীয় হাসপাতালগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সংকট, দেশের ২১ শতাংশ হাসপাতালে নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা

পরের সংবাদ

সিলেট বিএনপির কমিটিতে ১১ বছর ধরে ‘নিখোঁজ’ ইলিয়াস

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিলেট অফিস : সিলেট জেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত কমিটিতে ১ম সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে এম. ইলিয়াস আলীকে, যিনি ১১ বছর আগে রহস্যজনকভাবে ‘নিখোঁজ’ হন। ইলিয়াস আলীকে সরকার গুম করে রেখেছে বলে প্রথম থেকেই বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে।
২০১২ সালে ‘নিখোঁজের’ সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন ইলিয়াস আলী। পরবর্তীতে সংগঠনের দুই ইউনিট থেকেই তার নাম বাদ দেয়া হয়। এবার আবার কমিটির সদস্য করা হয়েছে সিলেট-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে। গত রবিবার রাতে সিলেট জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৫১ সদস্য এই কমিটিতে ইলিয়াস আলী ছাড়াও তার স্ত্রী তাহসীনা রুশদীর লুনাকে ২য় এবং ছেলে আবরার ইলিয়াসকে ১১ নাম্বার সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। তাহসীনা রুশদীর বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার দায়িত্বেও রয়েছেন।
গত বছরের ২৯ মার্চ সিলেট জেলা বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে সরাসরি ভোটে সভাপতি পদে আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক পদে এমরান আহমদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. শামিম আহমদ নির্বাচিত হন। কাউন্সিলের প্রায় এক বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন হলো।
দীর্ঘদিন ধরে ‘নিখোঁজ’ থাকা ইলিয়াস আলীকে কমিটির প্রথম সদস্য রাখা প্রসঙ্গে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, ইলিয়াস আলী জীবিত আছেন। সরকার তাকে গুম করে রেখেছে। তিনি দলের অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। সবদিক বিবেচনায় তাকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা ইলিয়াস আলীকে মুক্ত করে নিয়ে আসব।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন এম ইলিয়াস আলী। ইলিয়াসের সঙ্গে তার গাড়িচালক আনসার আলীও নিখোঁজ হন ওইদিন। সেদিন মধ্যরাতে ঢাকার বনানীতে সড়কের পাশ থেকে তার গাড়ি উদ্ধার করা হয়। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের পর তার সন্ধানের দাবিতে আন্দোলনে নামে বিএনপি।
এই দাবিতে সিলেটে হরতাল চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারান দলটির একাধিক কর্মী। এছাড়া ইলিয়াস আলীর সন্ধান চেয়ে বনানী থানায় মামলা করেন তার স্ত্রী তাহসীনা রুশদীর লুনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেও স্বামীর সন্ধানে সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। তবে ১১ বছরেও ইলিয়াস আলীর কোনো সন্ধান মিলেনি। প্রথমদিকে তার সন্ধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালালেও বর্তশানে এসব তৎপরতাও স্তিমিত হয়ে এসেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়