ছিনতাইকারী থেকে দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান

আগের সংবাদ

বিশুদ্ধ পানি ছাড়াই স্বাস্থ্যসেবা! : উপকূলীয় হাসপাতালগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সংকট, দেশের ২১ শতাংশ হাসপাতালে নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা

পরের সংবাদ

সার্কুলার জারি : চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : পরীক্ষামূলকভাবে সফলতা পাওয়ার দুই মাস পর ২০০ মিটার লম্বা ও ১০ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশ) বড় জাহাজ ভেড়ানোর বিষয়ে সার্কুলার জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) এবং চট্টগ্রাম কন্টেইনার টার্মিনালে (সিসিটি) বড় জাহাজ ভেড়ানো যাবে জানিয়ে এ সার্কুলার জারি করা হয়।
গত রবিবার বন্দরের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বড় জাহাজ ভেড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এর ফলে শিপিং লাইনগুলো এখন বড় জাহাজে আমদানি-রপ্তানি পণ্য ও কনটেইনার কম খরচে কম সময়ে পরিবহন করতে পারবে।
এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি বন্দরের চট্টগ্রাম কন্টেইনার টার্মিনালের (সিসিটি) ১ নম্বর জেটিতে প্রথমবারের মতো সফলভাবে ২০০ মিটার লম্বা ও ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ বড় ভেড়ানো হয়েছিল। ওইদিন দুপুরে বেলুন উড়িয়ে বড় জাহাজ বার্থিং কার্যক্রম উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বর্তমানে বন্দরের জেটিতে ১৯০ মিটার লম্বা এবং ৯ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারে। এ জাহাজগুলোতে প্রায় আড়াই হাজার টিইউউএস কন্টেইনার বহন করা যায়। ১০ মিটার ড্রাফট ও ২০০ মিটার লম্বা জাহাজ ভিড়লে বন্দরে ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার কন্টেইনার পরিবহন করানো সম্ভব। বন্দরে ১৮টি জেটি রয়েছে। সব জেটিতে একই ড্রাফট থাকবে না। তবে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) এবং চট্টগ্রাম কন্টেইনার টার্মিনালে (সিসিটি) ১০ মিটার গভীরতা দেয়া সম্ভব। ফলে এ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি আরো সহজ হয়ে যাবে। বন্দর সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৫ সালে বন্দরে ১৬০ মিটার লম্বা ও সাড়ে ৭ মিটার গভীরতার জাহাজ ভেড়ানো যেতো। ১৯৮০ সালে তা বাড়িয়ে ১৭০ মিটার লম্বা ও ৮ মিটার ড্রাফট করা হয়। ১৯৯০ সালে ১৮০ মিটার লম্বা ও সাড়ে ৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভেড়ানো হতো।
১৯৯৫ সালে ১৮৬ মিটার লম্বা ও ৯ দশমিক ২ মিটার ড্রাফট করা হয়। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে বন্দরে ১৯০ মিটার লম্বা ও সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানো শুরু হয়। লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘এইচআর ওয়েলিং ফোর্ড’ গত এক বছর ধরে জরিপ চালায়। এর মধ্যে বর্তমানে চ্যানেলের যে অবস্থা এবং জেটি যেভাবে রয়েছে তাতে বন্দরে ঠিক কত গভীরতাসম্পন্ন এবং দৈর্ঘ্যরে জাহাজ ভেড়ানো যায়, বন্দরের দুই তীরের কী পরিমাণ জায়গা জেটি বা ইয়ার্ড স¤প্রসারণ কাজে ব্যবহার করা যায় এবং কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিলে বন্দরে সর্বোচ্চ কত গভীরতা এবং দৈর্ঘ্যরে জাহাজ ভেড়ানো যাবে- এ বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে জরিপটি চলে। গত এপ্রিল মাসে পাঠানো ওই জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বন্দরের যে অবকাঠামো রয়েছে তা ব্যবহার করে ১০ মিটার ড্রাফট ও ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে জাহাজ ভেড়ানো যাবে। তবে বহির্নোঙর ও গুপ্তখালের সন্নিকটের বাঁকে কিছুটা কাজ করে নদীর দুয়েকটি পয়েন্টে ড্রেজিং করলে বন্দর চ্যানেলে ২২৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে ও ১১ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়