আশালতা : নজরুলের উত্থান-পতনময় জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য নাম

আগের সংবাদ

বর্ষায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা চট্টগ্রাম নগরবাসীর : চসিক-চউক ব্যস্ত দোষারোপে

পরের সংবাদ

কমেনি মাছ-মুরগির দাম, অস্থির সবজির বাজার

প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রোজার আগেই হু হু করে বাড়ছে মাছ-মাংস, শাক-সবজিসহ সব নিত্যপণ্যের দাম। গত তিন সপ্তাহ ধরে ব্রয়লার মুরগির দাম ঊর্ধ্বমুখী। মাছ ও সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় আরো বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতো ২৫০-২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য মুরগির দাম ২০-৫০ টাকা বেড়েছে। পাকিস্তানি মুরগি ৩৪০-৩৮০ টাকা ও সোনালি মুরগি ৩২০-৩৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির প্রতি পিস ৫০০-৫৫০ টাকা।
সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় প্রতিটিরই বেড়েছে। দুএকটি ছাড়া কোনো সবজি ৪০/৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি কেজি সজনে ২০০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ থেকে ১১০ টাকা, করলা ১০০ থেকে ১১০ টাকা, সিম ৫০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, আলু (পোলান্ড) ৩০, দেশি ছোট আলু ৪০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস ফুলকপি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও এক হালি লেবুর দাম আকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা।
মালিবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা এনামুল হোসেন বলেন, শীতকালীন সবজি শেষ হয়ে যাওয়া এবং অনেক সবজি ক্ষেতে ধান লাগানোর কারণে উৎপাদন কমে গেছে। সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়তি। এর পাশাপাশি রোজার প্রভাবও রয়েছে। তিনি বলেন, রোজা শুরু হলে বেগুন, শসা, লেবু, টমেটো ও ধনেপাতার দাম কিছুটা বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে কাঁচামরিচেরও।
রোজার আরেক গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ছোলার দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯৫ টাকা, যা আগে ৯০-১০০ টাকা ছিল। তবে অন্য কোনো পণ্যের দাম কমতে দেখা যায়নি। প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসুর ডাল ১৩৫-১৫০ টাকা, খেসারি ডাল ৮০-৯০ টাকা, অ্যাংকরের বেসন ৭৫-৮৫ টাকা ও বুটের বেসন ১০০-১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে মাছের দামও ঊর্ধ্বমুখি। চাষের পাঙাস প্রতি কেজি ২২০ টাকা, তেলাপিয়া আকারভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, রুই ৩৫০ টাকা, চাষের কই ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে এসব মাছের দাম তুলনামূলক কম থাকায় সাধারণ ও নি¤œ আয়ের ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি থাকত। বাজারে এগুলোই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হতো। কিন্তু এখন চিত্র ভিন্ন।
এছাড়া বড় ও মাঝারি সাইজের শিং মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, ছোট শিং ৪০০ টাকা, টেংড়া ৫০০ টাকা, পাবদা ৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৮০০ টাকা, মলা ৪০০ টাকা, কাতল ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা ও শোল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। সেগুনবাগিচা বাজারের মাছ বিক্রেতা তোফাজ্জল মিয়া বলেন, মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ার পর থেকে মাছের চাহিদা বেড়েছে। তাই মাছের বাজারও একটু বাড়তি। মাছের দাম কেজিতে ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী কবির মিয়া মাছের দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যেমন ইচ্ছে তেমনিভাবে চলছে বাজার। সবাই দাম ইচ্ছামতো বাড়িয়ে দিচ্ছে, কিন্তু মনিটরিংয়ের যেন কেউ নেই। দাম বৃদ্ধির কারণে আগে থেকেই খাওয়া যায় না গরু-খাসির মাংস। এরপর বাড়ল ব্রয়লারসহ অন্যান্য মুরগির দাম। এখন দেখছি সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি। আগে পাঙাস কিনতাম ১৫০/১৬০ টাকায়, এখন সেই মাছের দাম বেড়ে ২২০ টাকা। চাষের কই আগে কিনেছি ২৪০ টাকায়, এখন ৩০০ টাকা। তেলাপিয়া মাছও ২৫০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। তাহলে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা কী কিনবে? কী খাবে?

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়