ভারত মিয়ানমার থাইল্যান্ড : কানেক্টিভিটি প্রকল্পে যুক্ত হতে আগ্রহী বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

শুভ জন্মদিন পিতা

পরের সংবাদ

৭ জনের বিরুদ্ধে উকিল নোটিস : ভেন্ডার নিয়োগে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : রাজিবপুর সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির বিরুদ্ধে ভেন্ডার নিয়োগসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গত চলতি বছরে ২ ফেব্রুয়ারি আব্দুল আজিজসহ ভুক্তভোগী আটজন বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগকারী ব্যক্তিরা কোনো প্রতিকার না পেয়ে উচ্চ আদালতের আইনজীবী মো. নাজমুল হুদার মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিস পাঠায়। সরজমিনে গিয়ে জানা যায় এসব তথ্য।
এ বিষয়ের অভিযোগে জানা গেছে, জেলা প্রশাসক কুড়িগ্রামের কার্যালয় থেকে সরকারি সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি নীতিমালা অনুযায়ী শর্তপূরণ সাপেক্ষে সীমান্ত হাটের জন্য কিছুসংখ্যক ভেন্ডার নিয়োগ করার নোটিস আহ্বান করা হয়। এ নিয়োগের নোটিস পেয়ে রাজিবপুরের প্রায় ৫ শতাধিক আগ্রহী প্রার্থী আবেদন দাখিল করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি আবেদনপত্রগুলো যাচাই-বাছাই করার পর তা লটারির মাধ্যমে ২৫ জনের একটি চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করেন। তৎকালীন জেলা প্রশাসক কুড়িগ্রাম মো. হাবিবুর রহমান কর্তৃক ২৫ জনের ভেন্ডার কার্ডের অনুমোদিত তালিকা প্রকাশ করেন। তারপর রাজিবপুর উপজেলার সাবেক ইউএনও আব্দুল কাদেরসহ কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রাজনৈতিক ব্যক্তির যোগসাজসে অর্থের বিনিময়ে গোপনে তালিকায় ১৭ জনকে ঠিক রেখে ৮ জনকে পরিবর্তন করে। পরিবর্তন ব্যক্তিরা হলেন- আব্দুল আজিজ, আব্দুল হালিমা, আব্দুস ছাত্তার, আ. সালাম, কবির উদ্দিন, র্মোশেদুজামান, ইব্রাহিম ও সামছুল আলম। অপরদিকে সেইস্থলে নতুনভাবে অনুমোদন ছাড়াই ৮ জনকে নিয়োগ দেন।
তারা হলেন- বাবু মিয়া, সোনা মিয়া, বেলাল হোসেন, হামিদুর রহমান, আব্দুল আজিজ, শফিউল আলম, সায়েদ আলী ও গোলাম মাওলা। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে আব্দুল আজিজসহ ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারীরা কোনো প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে চলতি বছরে ৩ মার্চ মাসে উচ্চ আদালতের আইনজীবী মো. নাজমুল হুদার মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিস পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। নোটিশে সাতদিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে কেন তাদেরকে বাদ দেয়া হয়েছে।
এদিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কুড়িগ্রাম খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী গত সোমবার রাজিবপুরে সীমান্ত হাটে পরির্দশন করতে এলে অভিযোগকারী বিষয়টি তার কাছে উপস্থাপন করেন।
উল্লেখ্য, অনেক ঘটা করে ২০১১ সালে ২৩ জুলাই কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলা সদর থেকে সাড়ে ৪ কিলোমিটার দূরে ভারতের কালাইরচর সীমান্তের বিপরীতে বাংলাদেশের বালিয়ামারী সীমান্তে জিঞ্জিরাম নদীর পাড়ে সীমান্তহাট চালু করা হয়। হাটের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী লে.কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান এবং ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আনন্দ শর্মা। বাংলাদেশ এবং ভারতের ২৫ জন করে ৫০ জন্য বিক্রেতা হাটের ৮টি সেটে দোকান আছে। প্রত্যেক ক্রেতা ২০০ ইউএস ডলার সমান ১৬ হাজার ৯শ টাকার মালামাল ক্রয় করতে পারবে।
হাটে কেনা বেচার জন্য উভয় দেশের ৩শ করে ৬শ ক্রেতা এবং ২৫ জন করে ৫০ জন বিক্রেতা থাকার কথা। হাটের গেটে বিজিবির সদস্যরা চেক করে ভিতরে প্রবেশ করাবে। সীমান্ত হাটে দু’দেশের অনুমোদিত ৬৯টি পণ্য কেনাবেচা হবে। রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি অনেক আগের। এ কারণে আমি কিছুই বলতে পারছি না। এ নিয়ে বালিয়ামারী সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কুড়িগ্রাম খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সীমান্ত হাটে পরির্দশন করতে গিয়েছিলাম। সে সময় তারা আমাকে বিষয়টি বলেছে। বিষযটি পুরনো তারপরও আমি যাচাই-বাছাই করার পর সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ অভিযোগ ও উকিল নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি অনেক পুরাতন। আমার সময় নতুন করে কিছু ভেন্ডার নিয়োগ করা হবে তারা ইচ্ছা করলে আবেদন করতে পারে তা বিবেচনা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়