শাহজালাল বিমানবন্দর : মশা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তিনজনের মতামত চান হাইকোর্ট

আগের সংবাদ

ফের ‘ভেরিফিকেশন’ নাটক! : মিয়ানমার থেকে আসা ১৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল টেকনাফে

পরের সংবাদ

মোজাম্বিক-মালাউই : সাইক্লোন ফ্রেডির তাণ্ডবে শতাধিক নিহত

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ক্রান্তীয় ঝড় ফ্রেডির তাণ্ডবে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক ও মালাউইতে শতাধিক নিহত, বহু আহত ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফ্রেডি গত শনিবার এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। গত সোমবার মোজাম্বিক ও মালাউই ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণ গোলার্ধে রেকর্ড হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়গুলোর মধ্যে ফ্রেডি অন্যতম এবং এটি সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় হতে পারে।
ঝড়টি শনিবার মোজাম্বিকের মধ্যাঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়ে বহু ভবনের ছাদ উড়িয়ে নেয় এবং এর প্রভাবে দেশটির ক্যালেমানা বন্দরের আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়, এরপর এটি মালাউইর দিকে এগিয়ে গিয়ে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণ হয়, এতে সেখানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। মোজাম্বিকের দুর্গত এলাকাগুলোর কিছু অংশ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে, সেখানে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও কাজ করছে না; ফলে এখানে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পুরো চিত্র এখনো পরিষ্কার হয়নি।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে মালাউইর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক বিভাগের কমিশনার চার্লস কালেম্বা জানিয়েছেন, ঝড়টির কারণে মালাউইতে ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও বাণিজ্য কেন্দ্র ব্লানটায়ারে নিহত ৮৫ জনও আছেন।
ফ্রেডি গতমাসে প্রথম সাগর থেকে স্থলে উঠে এসে মাদাগাস্কার, মোজাম্বিক ও মালাউইতে আঘাত হেনেছিল। তারপর থেকে ওই তিন দেশে এর তাণ্ডবে এ পর্যন্ত প্রায় ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডক্টরস উইথাউট বর্ডারস (এমএসএফ) এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যারিন পিচার টেলিফোনে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর পর্যন্ত ব্লানটায়ারের কেন্দ্রীয় হাসপাতালে অন্তত ৬০টি মৃতদেহ এসেছে।

আহত প্রায় ২০০ জনকে এই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, মূলত গাছ পড়ে, ভূমিধসে এবং হড়কা বানেই বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, বহু মাটির ঘরের উপর টিনের ছাদ ছিল, সেগুলো মানুষের মাথার ওপর ভেঙে পড়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র পিটার কালায়া জানিয়েছেন, ব্লানটায়ারের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি এলাকা চিলোবি ও এনডিরানডে উদ্ধারকারী দলগুলো লোকজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। সোমবারও সেখানে বৃষ্টি হচ্ছিল এবং নগরীর বহু বাসিন্দা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ছিলেন। নিখোঁজ কিছু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়